ইমরান খান রাজ
প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। সারা বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার লক্ষ্যে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়ে থাকে।
পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে।
প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাক্ষেত্রসহ প্রায় সকল বিষয়েই পুরুষের অবদান অনস্বীকার্য। দেশ ও জাতি গঠনে নারী পুরুষের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কলকারখানায় ঝুকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে পুরুষ ও বালকরা। দেশে নারীবান্ধব বিভিন্ন আইন চলমান থাকলেও পুরুষ নির্যাতন বা পুরুষ অধিকার আদায়ে লিখিত কোন আইন এখনো পাশ হয়নি। প্রতিটি পুরুষ বা বালকই দেশের জন্য সম্পদ। তাই পুরুষের সম্মান ও অধিকার আদায়ে দেশে পুরুষ বান্ধব আইন প্রনয়ণ জরুরি বলে আমি মনে করি।
১৯ নভেম্বর তারিখে পুরো বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনের অন্যতম উদ্দ্যেশ্য হলো পুরুষ ও বালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচার-প্রচারণা করা। নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সাম্যতার প্রচার।
পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে সমাজে তুলে ধরা। পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরী করা। পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা এবং সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষ ও বালকদের অবদানকে তুলে ধরা।
শুধুমাত্র পুরুষ দিবসে নয়, পুরুষদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করা উচিত সারা মাস, সারা বছর, সারাজীবন। সমাজে বসবাসরত নারীদেরকে আমরা পুরুষরা যেভাবে সম্মান প্রদর্শন করি ঠিক একইভাবে নারীদেরও উচিত দেশ ও সমাজের সকল পুরুষ ও বালকদের সম্মান করা।
তাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করা, একসাথে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলা৷ সকলের-ই জেনে রাখা উচিত, পুরুষ ছাড়া নারী উন্নয়ন বা নারী ছাড়া পুরুষ উন্নয়ন সমাজে সম্ভব নয়৷