মো সেলিম হোসেন
একটা বসন্ত আজ থেকে ঠিক চারশত দশদিন আগে,আমার দরজায় কড়া নেড়েছিল।
এক গুচ্ছ গোলাপ ফুলের পাপড়ি এনে বলেছিল, বড্ড অদ্ভূত আর বিচিত্র স্বভাবের মানুষ তুমি।
অজানা অচেনা সেই মেয়েটির কথাগুলো শুনতেই হৃদয় মন্দিরে ঝড় উঠেছিল,
হৃদয়ের গহীন জুড়ে কাননে কাননে নানা রঙয়ের ফুল ফুটেছিল।
মনে হয়েছিল এই বুঝি আমার একাকীত্বের মাঝে হারিয়ে যাওয়া,
হৃদয় বেনিতে নব বসন্তের নব রূপে আশার সঞ্চার
জাগালো।
ঠিক যেন মনের তেপান্তরে তাধিনা তাধিনা গানের ছন্দের তালে তালে,
নব বসন্তের উচ্ছ্বাস দিয়ে বলে গেলো এত দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি হতাশা কেন-?
আমি এসেছি তোমার সব নিজের করে নেবো বলে,
তোমার মনের হতাশা গ্লানি ভালোবাসার চাদরে ঢেকে দেবো বলে।
কথাগুলো শুনে মনে হয়েছিল,
মরুভূমির বুকে নব বীজ অঙ্কুরিত করার চেষ্টা মাত্র,
কি লাভ তাতে,
এক ডালি হাসির ফুলঝুরি দিয়ে বলেছিল তোমার ধারনাটা সবই ভুল,
আমি এসেছি তোমার একাকীত্বের অংশীদারি হতে,
আমি এসেছি তোমার বুকে মাথা রেখে রোজ নিশিতে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে,
আমি এসেছি তোমার দুঃখ,কষ্ট, গ্লানি সব ভালোবাসার পরশ দিয়ে ভুলিয়ে দিতে,
আমি বলেছিলাম লাভ কি?
আমি তো বেশ আছি আর ভালোই আছি..!
মিষ্টি হাসি দিয়ে বলেছিল,আমি জানি তুমি ভালো নেই,
তোমার সেই চাঞ্চল্যতা, হাস্য উজ্জ্বল মুখ,
অসাধারণ বাচন ভঙ্গি আজ তাহলে কোথায়?
আমি বলেছিলাম তুমি ভুল ঠিকানায় এসে পড়েছ,
তোমায় কেউ হয়ত ভুল ঠিকানার সন্ধান দিয়েছে,
মিষ্টি হাসি দিয়ে বলেছিল হোক না কিছুটা ভুল,না হয় ভুলের সঙ্গেই করলাম বাস।
দেখিনা ভুলটায় করি আমার হৃদয়ের চাষাবাদ,
তুমি শুধু এতটুকু দিও ঠাঁই।
সংক্ষিপ্ত