শেখ হোসনা
খুব কষ্ট হচ্ছে চলো হসপিটাল নিয়ে যাই।
“যেয়ে শুয়ে পর। অনেক রাত হয়েছে। বেশি খারাপ লাগলে আমার এই পাজি ছেলেটাকেই তো ডাকব!
এই ছিলো সুতার সাথে বাধনের শেষ কথা।সুতা হকরল গেলো নিজককে হত্যা করল নিজেরই গোপন ইন্ধনে।তা বাধন জানতে পারল যখন দেখল৷ সুতার বালিশের নিচে রাখা এতো দিনের না খাওয়া ঔষধ গুলো।সাথে রাখা বাধন বরাবর একটি চিরকুট।যার লিখন এমনটা…ভাবীকে ক্ষমা করিস।নিজের সাথে পরাছিলাম না ওকে পচন্ড মিস করতাম যা প্রথম জীবনেও এতো হয়নি।
একবার দেখার পর লোভটা যেনো নির্লজ্জ হয়ে গিয়েছিল। বার বার ইচ্ছে হচ্ছিল হয় দেখি না হয় কথা বলি। বল এটা কি তোর ভাবী পারে? এটা সুতার আদর্শের বাহিরে ছিলো তবুও যেনো হারতে বসছিলাম!নিজের প্রতি নিজেকে ছোটো মনে হচ্ছিল। তাই কোনো উপায় ছিলো না। পারছিলামই না কোনো রকম। তাই চলে যাওয়ার পথটাই সহজে তৈরি করে ফেললাম। ক্ষমা করিস বাছা শুধু তোকেই একা করে গেলাম! বাচ্চাদের নিয়ে তেমন ভাবনা নেই। তুই ওদের জন্য যথেষ্ট আমি জানি তুই যে আমায় অনেক ভালোবাসিস।আর কি বলব আবার ক্ষমাই চাইব।ওহে বাধন, পড়া শেষে ছিড়ে ফেলে দিস। কারন সত্য সদা উদ্ভাসিতের পথ খোঁজে। তখন হয়তো লজ্জাই জুটবে। আসিরে ভালো থাকিস।
এভাবেই সুতার বাধন শেষ হলো বাধনের সাথে, এই ভুজগতের সাথে।যা হয়তো ধ্রুব জানবে বাধন জানালে!
সমাপ্ত।