শেখ হোসনা
ধ্রুব ভেবে ছিলো সুতা বাধনের কথায় চলে যাবে। দেবর বলে কথা। কিন্তু না, সুতা সাহসের বেলায় আজ আগের পরিচয়টা দিলো না।সে বাধনকে ধ্রুবর পরিচয় দিলো এভাবে—-“”বাধন উনি তারকা,ধরা ছোঁয়ার উর্ধ্বে মানে উনি ধ্রুব!!
ধ্রুব নামটা শুনতেই বাধন উৎফুল্ল স্বরে “ধ্রুব ভাইয়া! কেমন আছেন?
বাধনের উৎফুল্লতায় সুতা কিছুটা লুকায়িত ভাব নিয়ে বাধনের হাতে সামান্য চাপ দিয়ে “” হিম উনি ধ্রুব, আচ্ছ,আমরা আসি।
ধ্রুবকে উদ্দেশ্য করে।তাই বাঁধন “” ভাবী আমাদের কাজতো শেষ হয়নি। তুমি বরং ভাইয়ার সাথে কোথাও বসে চা বা কফি খাও। এই ফাঁকে আমি কেনাকাটাটা সেড়ে আসি।
“” তোর চয়েজ ভালো না । উনার সাথে অন্য দিন চা খাওয়া যাবে। আজ হয়তো উনি ব্যস্ত।
সুতা অভিমানী চোখে কথাটি বলছিলো তাই ধ্রুবও”””যে তোমায় এতো ভালোবাসে তার চয়েজ নিশ্চয়ই খারাপ হতে পরে না! আর আমি ব্যস্ত তোমায় কে বললো?”
সুতা সরল ভাবে””ব্যবসা করো ব্যস্ত থাকতেই পারো।তাছাড়া ফ্রি হলেতো সাথে পরিবার থাকতো।আচ্ছা আসি।
সুতা কেমন যেনো ধ্রুবর কাছ থেকে পালাতে চাচ্ছিল।হলোও তাই, কোথায় উঠেছে। কেনো এখানে আসা কিছুই বলল না এমনকি ধ্রুবরটাও জানতে চাইল না।হয়তো ভয় বাধন ভুল বুঝবে।চলে এলো দ্রুত পায়ে।ধ্রুব সাথে এগিয়ে দিতে চাইলে তাতেও বাধ সাধল। কিছু দুর এগোতেই বাধন””ভাবী আমিতো উনার কাছে বিদায় নিলাম না। ভদ্রলোক কি ভাববে বলোতো? দাড়াও বিদায় নিয়ে আসি।
সুতার অনুমতির অপেক্ষা না করে বাঁধন ধ্রুবর কাছে যায় এবং বেশ সময় কথা বলছে তাই সুতা চেহারায় ভাবনার রেশ টেনে একা একাই””কি এতো বলছে? প্রথম পরিচয়ে, ওমা বোকাটা আবার আমার প্রতিরাতের কান্নার কথা বলছে নাতো? নাহ সময়টা বেশি হচ্ছে বলেই””কিরে হলো?
ভাবী ডাকতেই “ওকে ভাইয়া আজ আসি ভালো থাকবেন।
দ্রুত পায়ে ভাবীর কাছে এসে”” সত্যি ভাবী রুপে নয়গো তুমিতো তার কথার আর্টে হেরে গিয়েছিলে।”
“” রুপে নয় কেনো?
“রুপ হয়তো বয়সে কিছুটা ঢলে গেছে।কিন্তু কথা যা বলে।
“” তুই ও কি ওর কথায়—
“” আমি ছেলে একটু জেলাস,তবে যাই বলো বেটার কথায় এখনও ডজন খানেক মেয়ে —-
“” হয়েছে চুপ করো “
“কিগো আজো ভাগিদার মেনে নিতে –
এবার ধমকের সুরে “” চুপ বেশি পাকামো।
“যাই বলো সত্যি কিন্তু আজো মেয়ে কাত করার মতো ক্ষমতা উনার দখলে।”
এটা ওর ইচ্ছে তে নয়। সৃষ্টিকর্তার দান।
“” সে এটা মানে?
“শুধু ও কেনো? এই একটা ভাবনাই পৃথিবীর কোনো সুন্দর মানুষ ভাবে না যে –এটা তার নিজস্ব অর্জন নয়। সম্পুর্ণ উপর ওয়ালার দান।যাক টপিক বদল করুন বাধন সাহেব।”তাড়াতাড়ি কেনা কাটা সেড়ে নিন ডাক্তার আসার প্রায় সময় হচ্ছে “
“”আজ আর যাব না ভাবী। কাল যাব, চলো ফিরি।
কথা মতো পরের দিন এলো রিপোর্ট তুলে ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু বাধন রিপোর্ট ডেলিভারি টেবিল থেকে এসে জানাল। রিপোর্ট আজ নয় দুদিন পর দিবে।তাই নিরাশ হয়েই রুমে ফিরল দুজন।রাতে শুতে যাবার আগে বাধন আমতা আমতা করছে কিছু বলবে বলবে ভাব তাই সুতা ” কিরে আজ আবার কি জানতে চাস?
“” কিভাবে বুঝলে?
“আমি তোর কি হই?
“” সরি জননী,বলছি কি ভাবী রিপোর্ট দুদিন পর এই দুদিন না হয় আমি বাড়ী যেয়ে আমার সেই বন্ধু টিকে একটু সাহায্য করে আসি। রিপোর্ট তুলার আগেই আমি চলে আসব।তুই আসবি মানে? আমি এখানে কি করব?
“” মাত্রতো দুদিন তুমি এর জন্য জার্নি করবে কেনো? তাছাড়া আমি বাসায় যাব না সোজা ওদের ওখানে উঠব। তোমাকে কয়েকটা উপন্যাস কিনে দিয়ে যাব। “
“”বারণ করলে তুই শুনবিব না বুঝতে পারছি।তাছাড়া ভালোবাসার ব্যাপার এলো মেলো হলে ছেলে মেয়ে দজনই কষ্ট পাবে!! আচ্ছা সময় মতো চলে আসবি।
বাধন ওর রুমে যেতেই সুতা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে “” আল্লাহ তুমি ওদের পক্ষে থেকো।
বাধনকে বিদায় দিয়ে লম্বা একটা ঘুম দিয়ে বিকেলে পায় চারির উদ্দেশ্যে ছাদে যায়। কিন্তু হাটছে না থেমে থেমে হাটছে এক সময় হাটা বন্ধ করে দেয়াল ঘেসস দাঁড়িয়ে মনে মনে “” ধ্রুব এই শহরেই আছে অথচ কোথায় জানি না সেও জানেনা আমি কোথায়। আচ্ছা,আমিতো ওকে দেখতেই চাচ্ছিলাম। তাহলে সেদিন এভাবে চলে এলাম কেনো? আবার ওর দিকে তাকাতেও পারছিলাম না। কেমন যেনো —-কি ব্যাপার ওর স্মেল পাচ্ছি কেনো? দূঃর হয়তো ভ্রান্তি এই শহরে আছে বলে।নয়তো মনে করছি বলে।
মনে করছি বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তেই””মনে করছো বলে নয়। পাশেই আছি।
এবার সুতা সত্যি চমকালো তুমি আমার হোটেলে?তবে কি বাধন..
“” হিম, বাধনই এমনটা সাধন করেছে।
“ও করল আর তুমি মেনে নিলে?ইচ্ছতেতো নয়। তবে বাধনেরটা শুনতে হলো কেনো? করুনা?
“” যদি বলি নিজেকে তুলে ধরার সুযোগটা হাত ছাড়া না করা।তাহলে?
“এটাই তো তোমার গুন নয়তো আমার ভুল বুঝা। তোমার মিথ্যেটাও সত্য মানা।
“” কোনোটাই মিথ্যে ছিলো না।কিছু একটার বাধা ছিলো
ধারাবাহিক…. চলবে
আরো পড়ুন
সুতার বাধন প্রতি রাতের কান্না পর্ব-৫