সেখ হোসনা
হয়তো শব্দটা দাঁড় করিয়ে মন্দটা সরিয়ে দিতাম।
সুতার এই মূহুর্তে কথার চঞ্চলতা দেখে বাধন ভয় পেয়ে যায়। কারন কথা কথা বলছে ঠিকই কিন্তু কোথায় যেনো নিজেকে হারিয়ে তাই বাধন “” ভাবী,ভাবী,
সুতাও জবাব করল দুউর কোথাও থেকে ফিরে এসে “” হিম, কিরে কিছু বলছিলি?
বাধন ছোটো নিঃশ্বাস ছেড়ে “” নাহ,তেমন কিছু নয়;তুমি আরো কিছু বলবে?
“” আমি কি কিছু বলছিলাম? তুইতো কি সব জানতে চাইলি। যা অনলক রাত হয়েছে।
“”ভাবী,
“হিম,
“নামটা বললে না?
“”কার?
“”তিন দিক ঠিক যার।
“”ওহ!নামটাই বলিনি।ধ্রুব,ধ্রুব ওর নাম। তারকা তাই তারকার মতোই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুঠে গিয়েছেরে।এবার যা আর ভাল লাগছে না।
বাধন সুতার কাছে ধ্রুবর কথা শুনার পর দুদিন নিজেদের কথা ছাড়া অন্য কোনো রকম কথাই সুতার সাথে বলেনি। অর্থাৎ ধ্রুবর সম্পর্কে আর কোনো কথাই তুলেনি।তবে সুতাকে বাধন তেমন একটা সময়ও দিচ্ছে না। তাই সুতা নিজেই যেচে””এ্যাই শোন, তোর কি হয়েছে? নিজেকে খুব ব্যস্ত রাখছিস। আমাকে একা একা রাখছিস। “
বাধন নিঃশ্বাস ছেড়ে “” নাগো জননী, তোমাকে একা নয় ;একটা বন্ধুকে একটু সময় দিচ্ছি।
“”এখানে তোর বন্ধু এলো কোত্থেকে?
“”এখানে নয়, ফোনে কথা হচ্ছে। ওর একটা সমস্যা হয়েছে। আমাকে এই মূহুর্তে ওর খুব প্রয়োজন।
“”কি সমস্যা?
“আছে একটা সমস্যা “
“শোন সবার সব সমস্যা দেখতে নেই। অনেক সময় নিজের উপর সমস্যা চলে আসে।
“”কিছুটা স্বার্থপরের মতো শুনালো না?
“”মা বাবা সন্তানের বেলায় সেটা ও হয়। বল কার কি হয়েছে আমি শুনব।”
“”তেমন কিছুই না। এই প্রেমের ব্যাপার আর কি।
কিছুটা অবাক ভঙ্গিতে””ও বাবাগো আজ কাল তুমি প্রেমের বিশেষজ্ঞ হলে নাকি? কারো অতীত, কারো বর্তমান প্রেমের গবেষনা।”
“”আচ্ছা তুমি না চাইলে তা করব না। এবার তৈরি হও, ডাক্তার আসা সময় হচ্ছে।
“”কিরে, সত্যিতো গবেষনায় তুই পাগল হয়ে গেছিস। ডাক্তার আসার এখনো তিন ঘন্টা বাকী।
“”ইচ্ছে করেই আগে বের হচ্ছি, কিছু কেনা বাকী আছে।
“”ওমা!কালনা বললি – আর কিছু বাকী নেই।
“”ওহ মাগো আজ মনে হয়েছে যাও তৈরি হও।ওহে,ভাবী ব্লু শাড়ী পরবে।
“” ব্লু শাড়ী কেনো?
“”তোমার পছন্দ তাই।
“বাধন তুই কি আমার ডায়েরি—
” নাগো, তুমি ছোট্টো সময় আমায় ঘুম পারাবার সময় কত বলতে না? নীল আকাশে ধ্রুব তারা থাকে তাই তোমার নীল শাড়ী — তাছাড়া তোমায় নীল শাড়ীতে সত্যি খুব ভালো লাগে।”
“” তাই বল “
সুতা বাধনের কথাটা বাচ্চাদের মতোই বিশ্বাস করল। এমন কি ধ্রুবর নামটা নিয়ে ও এই মূহুর্তে অতো গভীরে গেলো না। চলে গেলো নিজেকে তৈরি করবে বলে।
মলের কাছাকাছি আসতেই সুতা অবাক হয়ে “কিরে, এতো কাছের মলে আসবি তো এতো আগে কেনো?”
“এটাতেতো আগে আসিনি সময় কেমন লাগবে তাতো জানিনা। তাই একটু আগেভাগে এলাম।আচ্ছা ভাবী,আমি যদি আমার সেই বন্ধুকে প্রেমের ব্যপারে হেল্প করি তুমি রাগ করবে?
“” নাগো বৎস,এগিয়ে যাও দূর করো তার কষ্ট।
“” ভাবী!কবি হলে কবে?
“দূর বোকা, প্রেমের ব্যাপার একটু কবি কবি ভাব নিয়েই বলতে হয়।কারন প্রেমের সাথে কবিতার খুব নিবিড় একটা সম্পর্ক আছে।প্রেমে পরলেই বুঝবি বুঝলি?
“” সেতো তোমার ভয়েই পালিয়ে আছে।
সুতা এবার আাদর করে বাধননের কান টেনে “” ওরে লুকানো দূষ্ট, এতো দূুুর,এবার যেয়েই মহারানীকে তলপ করবি। তবে অবশ্যই যে—-নো—
“” কি হলো ভাবী থামলে যে? শরীর খারাপ লাগছে?
কথার মাজে থেমেই সুতার হৃদ স্পন্দনের গতি বেড়ে গেলো।নিশ্চুপ থেকে দেহ স্থির রেখেই নয়নে কি যেনো খোঁজার অনুভুতি প্রকাশ পেলো তাই বাধন””ভাবী,ভাবী,
অনেক দূর থেকে যেনো ফিরে এসে জবাব করল””হিম,
“অমন করছো কেনো? মনে হচ্ছে কাউকে খোঁজচ্ছো।
অন্য মনস্ক হয়ে “” কাউকে না, একটা স্মেল পাচ্ছি,খুউব পরিচিত।
“” কোনো পরিচিত জনের?সেকি এখানে থাকে?
“” নাহ এখানতো,বাদদে চল।
“সরি ভাবী, তুমি এখানটায় একটু কষ্ট করে দাড়াও আমি যাব আর—-
“” কতোবার বলেছিনা? এসব বাসা থেকে বের হবার আগেই সেরে বের হবি।
“” ছোটো সময়ের মতো মনে করিয়ে দিলেই -বা তোমার কি হয়?
“”যা বোকা ছেলে তাড়াতাড়ি আয়।
“”সরি মাই লাভ থাকো।
বাধন যেতেই সুতা সুযোগ সন্ধানী হলো।নিজের চার পাশে ঘুরে ঘুরে দেখছিলো আর নিজের ঘ্রান শোষণ যন্ত্রটিকে কাজে লাগিয়ে সেই সুবাস খোঁজ ছিলো।কাজ হলো না তাই দীর্ঘ একটি শ্বাস ছেড়ে নিজের সাথে নিজেই বিড় বিড় করে উপহাসের হাসি হেসে””কিযে ভাবি আজো,হঠাৎ দেখা হবে হয়তো হবে কিন্তু এখানে কি করে। কিন্তু না তাই বা হয় কি করে আমিতো ওর পারফিউমের সাথে ওর গায়েরও—-
কথা শেষ হবার আগেই একজন ভদ্রলোক পিছন থেকে এসে সুতার হাতটি ধরে। এ অবস্থায় যেকারোই চমকে যাবার কথা। কিন্তু সুতা তা করল না। ওর যেনো সমস্ত বিশ্বাস এ হাত ধ্রুবর ছাড়া অনয কারো নয়।তাই চমকিত না হয়ে কিছুটা শান্তভাবেই প্রথমে হাতে নজর দিয়ে মাথাটা তুলে দেখল। কিন্তু কোনো ভনিতা ছাড়াই “তুমি এখানে?হাতটা ছাড়ো ছেলে সাথে।
কথাতে কোনো অবাকতা নেই তাই ধ্রুব “” অবাক হলে না কেনো?
“” ওমা, অবাক হবার কি আছে? আমার বিশ্বাস ছিলো। তাছাড়া পৃথিবীটা গোল আরেকবার না হয় তুমিই প্রমাণ করলে।
“” আগের মতোই আছো।একাই বলছো।কেমন আছো?
“যেমন দেখছ,তেমন। “
“চলো কোথাও বসি।”
“বাধন আসবে”
“বাধন?
” আমার ছেলে।নাহ মানে আমার দেবর।
“” খুব আদর করো বুঝি?
“” ও কেঁড়ে নেয়।
“” তুমি দাও বলেই নেয়।
এবার ছোটো একটা শ্বাস টেনে””হিম আমারতো দেবারই অভ্যাস। পাওয়ার ভাগ্যটাতো—
কথা শেষ হবার আগেই বাদন এসে ধ্রুবকে খেয়াল না করেই “” ভাবী সরি একটু বেশী সময় কষ্ট দিলাম। চলো, চলো চলো।
-চলবে-
আরো পড়ুন
সুতার বাধন প্রতি রাতের কান্না পর্ব-৪