শেখ হোসনা
ধারাবাহিক
“ঠিক বলেছো আজ প্রেমর গল্পই করব”তবে…
সুতা সামান্য গম্ভীর ভাব নিয়ে” তবে?
“”তোমার প্রেমেরটা কারন ডাক্তার তোমাকে আনন্দে রাখতে বলেছে “
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে”এই বয়সে এসে প্রেমের ইতিহাস ঘাটব।তাতে আবার আনন্দ হে এমন থিয়োরি তোকে কে দিলো?রুমে যা ঘুম পাচ্ছে।
“যাব না “
জিদ করবি না। তাছাড়া তোর ভাইয়ার সাথে আমার প্রেম ছিলো না।
“”প্রেমিক,প্রেমিকারা বর বউ কমই হয় তা আমি জানি “
“ওমা তুই কবে এ-তো বড়ো হলি? আমিতো বুঝতেই পারিনি। এবার যেয়ে তোর জন্য একটা মেয়ে দেখব।অবশ্য কেউ থাকলে বলতে পারিস বাধা দিবো না”
“যে নিজে বাধার স্বীকার সে কি করে এ ব্যাপারে বাধা হবে?
” হিম তোর এই থিয়োরি টা মানা যায়।তবে পুরোটা নয়! সময় অনেক সমশ বলে দেয় এখন কি করা উচিত।যাক, বলতো বাছা আমায় নিয়ে কেনো তোর এতো মাথা ব্যাথা।?
“এইযে বাছা বলো পুত্র বলো আমায় তাই তোমায় নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা।
“”শোন প্রমের গল্প করলে আনন্দ হয়, তাই বলে হারানো প্রম নিয়ে নয় বুঝলি বোকা।
“”সেটা অনেক আগেই জেনেছি। কিন্তু কে সে যে তোমার মতো…
“”বাদদে তো বাধন, মাকে কেউ এসব বলে?
“” সব সন্তান মায়ের সুখ চায়, আামি চাই!চাই আমার মায়ের প্রতি রাতের কান্নার সেই পাষন্ডকে দেখতে।যার জন্য…
“” কিছুটা বিস্ময় হয়ে “” প্রতি রাতের কান্না মানে?
“” তোমার ক্ষমতা আছে হাসির আড়ালে কান্না লুকাবার। কিন্তু চোখের নিজেরই সেই ক্ষমতা নেই। সেই ছোটো বেলা থেকেই দেখছি দিনের শুরুটাতে তোমার অশ্রু ঝরানো নয়ন। বলো ভাবি কার জনয ভাইয়ার মতো একজন অসহনীয় ব্যক্তির সাথে দূর্বিষহ জীবন করছো?আমি তাকে তোমার মুখোমুখি করে তার সুখটাও নষ্ট করতে চাই।
“তার সুখটাও নষ্ট করতে চাই ” কথাটা সুতার অতো ভালো লাগেনি তাই সামন্য গাল ফুলিয়ে””ওর সুখ নষ্ট করবি মানে?ওর কোনো দোষ নেই। তাছাড়া তোর ভাইয়া সহজ সরল এই যা। তারও কোনো দোষ নেই। সবাইতো সব সময় অন্যের জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে না। “
যত সহজে কথা গুলি বললে সত্যি কি অতো সহজ মেনে নেয়া? “
“নিয়েছিতো।
” হিম নিয়েছো অযোগ্য ব্যক্তির গায়ে হাত তোলা বাজে ভাষায় কথা বলা।”
“আমার সয়ে গেছে এক সময় তোর ভাই ঠিক হয়ে যাবে। এবার যাতো বাছা”
“বার বার যাতো যাতো বলবে না। আজ পুরো জানব তার পর কিছু একটা…
বাধনকে থামিয়ে “” একটা কিছু, কি একটা কিছু?
বাধন এবার ভাবীকে আদরের ঢংয়ে জড়িয়ে””তোমার সত্যিকার হাসিটা দেখবগো জননী।
বাধনের আদরে সুতা বাচ্চাদের মতো কেঁদে “” ভালোবাসা ভালোরে, কিন্তু পাগলের মতো বাসা ভালো নয়।”
“” তাকে পাগলের মতো ভালোবেসে ছিলে?
“হয়তো-বা
“সে?
” জানিনা,জানার আগেই আভিজাত্য আর দাম্ভিকতার দেয়াল৷ দাঁড় হয়ে ছিলো আমাদের মাঝে।
“আজবতো, সব ভালোবাসাতেতো এটা আসতেই হবে ভালোবাসার গভীরতা বাড়াতে।কিন্তু তোমরাতো এক ছিলে।
“” নারে,আমারটা অন্যরকম সে নিজেই সে দেয়াল গড়েছিলো।
“” তবে যে বলবলে তার কোনো দোষ নেই।
“দোষ কি করে দিবো? ওতো মুখফুটে বলেইনি ও আমাকে!!তার আগেই, তাই আজো ভাবি হয়তো ওর কোনো অপারগতা ছিলো যা আমাকে বলার অযোগ্য ছিলো।
“” অপারগ যখন ভেবেই নিয়ছো তাহলে এতো বছর তার জন্য।
হিম!কান্না ঠিক কোনো যে কাঁদি,সেটাও আজ অবধি নিজেকে প্রশ্ন করি।মাঝে মাঝে তোর ভাইয়ার ইচ্ছে অনিচ্ছে অপারগতায় কাঁদি আবার কাঁদি ওর না বলায়। ভাবি,একটিবার যদি জানতে পারতাম সত্যি কি কোনো অপারগতা নাকি আদৌ ভালোই বাসেনি। আবার ভাবি তাই বা হয় কি করে? প্রকাশেতো সম্পুর্ণ ভালোলাগাই ছিলো।তাহলে কেনো এমন করল? তাই জবাবটা যখন ওর আভিজাত্য আর দাম্ভিকতা উত্তর হয় তখন নয়ন দুটো নিজের অজান্তেই বাঁধ ভাঙ্গা হয়ে যায়।
কথা গুলো বলতে বলতে কাঁদতে থাকে তাই বাধন “” কোনো রকম যোগাযোগের মাধ্যম কি আমাকে দেয়া যায়?
“” সে নিজেই আমার কাছে আসবে। পবিত্র ভালো বাসার প্রতি এটা আমার বিশ্বাস। হয়তো সত্যটা না বললেও কিছু৷ একটা বলবে তার ভালোবাসার স্বীকারোক্তিতে।”
“” এতো বিশ্বাস তার প্রতি?
“” ও তখনো বিশ্বাস ছিলো আজো তাই।তাছাড়া ও মানুষ । যার ইন্দ্রিয় অনুভুতির কাজ হলো কোনো না কোনো সময় সঠিক অনুভুতি জাগ্রত করা।
“খুব কঠিন কথা বললে ভাবী!
” শুনতে কটিন তবে এটাই সত্য।
“” ঠিক আছে জননী তোমার বিশ্বাস নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু নামটা জানতে পারি কি?
“কেনো নাম শুনে রুপ দিবি?”
“হওম নামেতো রুপ আসেই তনে কর্মেও একটা রুপ আসে।
” আর যাই করিস কোনো পচা রুপ কিন্তু দিবি না
(স্বভাব মত বাচ্চাদের মতো কথাটি বলে ফেলল)
তাই বাধন””সত্যি বেটা পোড়া কপাল,অবুজ মনের সবুজ পাখি ধরতে পারেনি।
“” জানিস,ও অনেকের পছন্দনীয় হবার মতো একজন। চারটি দিকের তিনটি দিকতো অবশ্যই।
“” একটি দিক বাদ কেনো?”
সুতার এই মূহুর্তের কথাগুলি কিন্তু বর্তমান প্রেমে পরা ষোড়শী বা অষ্টাদশীর মতো শুনাচ্ছে।কোথায় যেনো হারিয়েই কথাগুলি বলছে।
“বোকা, একজন ব্যক্তির সব দিক সবার পছন্দ নয়। একটা ন একটা ত্রুটি থাকবেই।
“” তো, তোমার উনার কোন দিক দোষে ছিলো?
“” সেটা নিয়ে অতো ভাবিনি,শুধু ভালোইবেসেছি তাই ওর মন্দটাও ভালোবাসাতেই নিয়েছিলাম।হয়তো শব্দটা দাঁড় করিয়ে মন্দটা সরিয়ে দিতাম””
-চলবে-
আরো পড়ুন
সুতার বাধন প্রতি রাতের কান্না পর্ব-৩