বাতায়ন24 ডেক্স
এই সিদ্ধান্তের পর স্যান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক কোম্পানি ‘ইট জাস্ট’ সিঙ্গাপুরের বাজারে গবেষণাগারে তৈরি মুরগীর মাংস বিক্রি করতে পারবে।
গবেষণাগারে তৈরি মাংস বাজারজাত করার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম।
তবে কবে থেকে বিক্রি শুরু হবে সে সম্পর্কে কোম্পানিটি কোন তথ্য দেয়নি।
স্বাস্থ্য,সুরক্ষা,পশু এবং পরিবেশ দুষণ নিয়ে দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে।
তার সঙ্গে বাড়ছে ‘নিরাপদ মাংস’র চাহিদা।
সিঙ্গাপুর সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিশ্ব খাদ্য শিল্পে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে ইট জাস্ট-এর তৈরি পণ্য উদ্ভিদ-জাত নয়। প্রাণীর পেশী কোষ থেকে গবেষণাগারে এই মাংস তৈরি করা হয়।
অন্যান্য দেশও সিঙ্গাপুরের পথ অনুসরণ করবে বলে কোম্পানিটি আশা করছে।
গত এক দশকে ডজন খানেক কোম্পানি চালু হয়েছে ।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি কোম্পানি হচ্ছে বিল গেটস-এর অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি ‘মেমফিস মিট’ এবং ইসরায়েল-ভিত্তিক ‘ফিউচার মিট টেকনোলজিস’।
বিবিসির রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি বলছে, ইট জাস্ট যেভাবে এই কৃত্রিম মুরগীর মাংস তৈরি করেছে একদল বিশেষজ্ঞ তা যাচাই করে দেখেছে।
এটা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে জন্যেই সিঙ্গাপুরে একে চিকেন নাগেট হিসেবে বিক্রি করতে ইট জাস্টকে অনুমতি দেয়া হয়েছে, ।
এই মুরগীর মাংসে কোর ধরনের অ্যান্টিবাইওটিকের উপস্থিতি নেই এবং সাধারণ মুরগীর চেয়ে এই মাংসে জীবাণুর উপস্থিতিও কম বলে ইট জাস্ট দাবি করছে।
সুত্র: বিবিসি বাংলা