বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাসে মহান বিজয় দিবস এক গৌরবোজ্জল দিন। এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ” যার যা কিছু আছ ” তা নিয়েই স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তার বজ্রকন্ঠে সেদিন ধ্বনিত হয়েছিল “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।
পরবর্তীতে ২৫ শে মার্চের ভয়াল সেই রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা অস্ত্র হাতে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।শুরু হয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব তথা বাঙালির অস্তিত্বের লড়াই।
এই যুদ্ধে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, ভুটান,সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাহায্য-সহযোগিতা করে।বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাক হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে এবং পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়েই অর্জিত হয়েছে বাঙালির স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমেই সেই লক্ষ্য পূর্নতা পেয়েছিল । বিজয়ের সেই গৌরবদীপ্ত সাহস, শক্তি ও চেতনা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই হোক আমাদের প্রত্যয়।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।