কে এ বিপ্লব
প্রত্যাশা গুলো এখন আর
স্বপ্ন দেখে না,
অভিযোগ গুলো এখন আর
অভিমান করে না,
কিন্তু কষ্টগুলো ঠিকই
লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে।
ভালোবাসা গুলো এখন আর
চুপিসারে ডাকে না,
অনুভূতি গুলো এখন আর
আগের মতো টানে না,
কিন্তু অতীতের স্মৃতিগুলো
বায়না ধরে বারংবার।
চিঠি গুলো এখন আর
অনুপ্রেরণায় আসে না,
বৃষ্টি গুলো এখন আর
জানালার ধারে কাঁদায় না,
কিন্তু সেই লাজুক হাসি
দেহে তুলে বৈশাখী ঝড় ।
অজুহাত গুলো এখন আর
সামনে এসে দাঁড়ায় না,
চুপিচুপি কেউ এখন আর
মৃদুস্বরে কাছে ডাকে না,
কিন্তু সেই সন্ধ্যে প্রদীপ
জ্বলে হৃদয়ো মন্দিরে ।
তবুও অগোচরে প্রত্যাশা গুলো
স্বপ্ন দেখে অভিযোগ অভিমানে,
চুপিসারে ডাকে ভালোবেসে
স্মৃতি আর অনুভূতির দর্পণে,
আর কষ্ট গুলো পাখনা মেলে
ছুটে চলে অন্য দিগন্তে।
তবুও অনুপ্রেরণায় চিঠিগুলো
হাসে জানালায় বৃষ্টির শব্দে,
অজুহাতে সামনে এসে দাঁড়ায়
প্রজ্জ্বলিত প্রদীপের আলোয়,
আর তৃষ্ণার্ত লাজুক হাসি
দোলা দেয় মন মন্দিরে।