অনেকে বিশ্বাস করেন বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিসের তার বিচার শুরুর আগে এখানেই বন্দী করে রাখা হয়েছিল এবং এখানেই তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সে বিশ্বাস থেকেই এই জায়গাটিকে সক্রেটিসের কারাগার বলা হয়ে থাকে l তবে অনেক বিজ্ঞানী এই তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন করেন l কেউ কেউ দাবি করেন যে তার প্রকৃত কারাগারটি প্রাচীন আগোরার পাশে অবস্থিত ছিল।

যাই হোক তৎকালীন শাসকদের কোপানলে পড়ে তাঁকে হেমলক বিষ পানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং তা কার্যকরী করা হয় l তবে সেটি এই গরদের ভিতর কিনা তা সুস্পষ্ট না l আর যদি এখানেই হয় তবে চোখ বন্ধ করে দেখুন, সেই ভয়ঙ্কর দিনে এতটুকু বিচলিত হননি সক্রেটিস। স্থির শান্তভাবে বললেন, এখন সময় হয়েছে আমাদের সকলকে চলে যাওয়ার, তবে আমি যাব মৃত্যুর দিকে, তোমরা যাবে জীবনের দিকে। জীবন কিংবা মৃত্যু-একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারেন এর মাঝে শ্রেষ্ঠ কে?
ক্রিটো বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রাজকর্মচারীর দিকে ইঙ্গিত করতেই জল্লাদ কক্ষে প্রবেশ করল, হাতে তার বিষের পাত্র। সক্রেটিস হাসিমুখে সেই পাত্র নিজের হাতে তুলে নিলেন।
অকল্পিতভাবে শেষবারের মতো ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন তারপরই সমস্ত বিষ পান করলেন সক্রেটিসের কারাদণ্ড l সক্রেটিসের বন্ধুদের মধ্যে ক্রিটো ছিলেন সবচেয়ে ধনী।

তিনি কারারক্ষীদের ঘুষ দিয়ে সক্রেটিসকে অন্যদেশে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিলেন। কিন্তু সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন দেশের প্রত্যেক নাগরিকেরই দেশের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলা কর্তব্য। তার মৃত্যুদণ্ডের সমস্ত বিবরণ ক্রিটো এবং ফেডোর কথোপকথন থেকে নেওয়া হয়েছিল।
এই গুহাগুলো কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো তার সঠিক কোন উত্তর আজও পাওয়া যায়নি l
তবে এই প্রাচীন গুহা কমপ্লেক্সটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অ্যাক্রোপলিস যাদুঘর এবং জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘরের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্মের জন্য লুকানোর জায়গা হিসাবে কাজ করেছিল।
Stay Curious SIS