আহাদুর জামান
কুয়াশার চাদরে মোড়া আদুরে এক সকাল,
সাথে কম্বলের উষ্ণতা মাখা আলস্য।
আবার চিন্তা দৈনন্দিন ছকে বাঁধা কাজের তালিকার;
এই তো শীতকালের রোজনাম চা।
শীত মানেই পিকনিক, উইকএন্ড পার্টি,
শীত মানেই নলেন গুড়ের সন্দেশ;
শীত মানেই হরেক রকম পিঠা-গুড়ের পায়েস।
শীত মানেই ক্রিসমাস,নিউ ইয়ার।
এক কথায় শীত মানেই হাজার মজা।।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এখানে ঋতুচক্রের আবর্তনে হেমন্তের নবান্ন সমাপন করে হিমেল হাওয়ায় খবর নিয়ে বাংলায় আসে শীতকাল।প্রকৃতি তখন তার সমস্ত আবরণ খুলে দীনহীন বেশ ধারণ করে। তাইতো শীতের কথা মনে হলেই অন্তরাত্মায় কিছু লোভনীয় দৃশ্য নিত্য দোল খেতে শুরু করে,
আহা! শীত মানেই কত না মজার গল্প কথা।।
“শীতের এই মিষ্টি মজার গল্প কথার ছন্দ কাব্য আমার হৃৎ কলমের টানে করলাম নিবেদন–
শীত তো কুয়াশা ধূসর ধোঁয়াশা কুহেলিকাময় দিন
কত যে বাহারি শীতের সবজি দেখে ভরে যায় মন;
আহা!কী মজার খেজুর রসের পিঠার আস্বাদন।
কিষানের ঘরে ঢেঁকির শব্দ ঢকঢক সারাক্ষণ।।
শীত কাল মানেই বাঙালির কাছে এক নস্টালজিয়া। তাইতো বাঙালির কাছে শীত আসে নবরূপে••••
শীত এলেই বাঙালি মেতে ওঠে নানা উৎসবে।
আর শীতকাল মানেই পিঠা উৎসব এযেন বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য।
“শীতের পরশে
গুড়ের পায়েসে
মন যে মাতে উল্লাসে”
পিঠা উৎসব মানেই বাহারি সব মজাদার মুখরোচক পিঠার সমারোহ। তাইতো গ্রাম বাংলায় পিঠা পায়েস নিয়ে সকালের সোনালী রোদ্দুরে রসনা তৃপ্তি শীতের শীতের এক অন্যরকম অনুভূতি। খেজুরের মিষ্টি রসের হাঁড়িতে পাটখাঠি ডুবিয়ে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের চুকচুক করে রস খাওয়ার দৃশ্য এ যেন মজার ফুলছড়ি। শীতকালে মজার আরেক নাম পুষ্পশোভিত সরিষা ক্ষেতে প্রজাতির সাথে লুকোচুরি খেলা—
“হিমেল হাওয়া শীতের আমেজ উঠেছে জেগে কলি”!
শীতের সৌন্দর্য বিরাজ করে সরিষা ক্ষেতেও । মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুটে থাকা হলুদ সরিষার ফুল যেন বিছিয়ে রাখে ফুলেল চাদরে।আর এই ফুল ও কলিদের উপর উড়ে চলা রঙিন প্রজাপতি ও মৌমাছির নৃত্যে কেড়ে নেয় মন। প্রজাপতির সাথে লুকোচুরি খেলায় মেতে ওঠে বাংলার কিশোর। এমন মজা গ্রাম বাংলায় ছাড়া মেলে না।।
শীত মানেই হাজার মজা এই বাংলায়।
লেখার ইতি টানছি•••
শীতের বিকেল
অতীতের চাদর ঘাটে
কুয়াশাময় কিছু স্মৃতি
আদুরে।