অরবিন্দ সরকার
(বহরমপুর,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
উনবিংশ শতাব্দীর কথা , তখন যানবাহন গোগাড়ীর ব্যবস্থা!
কতিপয় হাতে গোনা মাইনর পাশ,তারাই গ্রামের মাথা।।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে আসর মণ্ডপে , ছড়িয়ে ছিটিয়ে শ্রোতা যথাতথা!
নির্বিচারে, বিনাবাক্যে, মাথা নেড়ে সম্মতি দিত জনতা !
কার বাড়ীর মেয়ে সুন্দরী,কার ছেলের আকৃতি কার মত মজলিসের বারতা ।
সেদিন উঠিল রব,চুপ করো তোমরা সব !বলিল – এক নেড়ে কুত্তা।
জানো সবে বীরার ছেলে ধীরা লেট, বিচার বিভাগের মাথা!
শুনে সবার মাথা হেঁট,ধরিল বাজীর বেট , ভাঙলো নীরবতা।
হতে পারে না ,হলেও ও আমাদের কারো জারজ !! কি করে হয় তা ?
বিধান দিলো মাতব্বর, পাঠানো হলো একচর , চুপিসারে যাচাই তার সত্যতা !
তিনদিন পর বসে সভা , সন্ধানকারী হতভাগা , পেশ করলো লেটের আদালতের ব্যস্ততা !
সভা দিলো সমাধান , হ’লেও হ’তে পারে !তবে পাইনা বেতন,সবে হলো একতা ।