রাজার বেটি শেখের বেটি রাজকন্যা হাসিনারে আল্লা মন দিছে হে আমাগো দালান দিছে।বলতে বলতে কেঁদেই দিলো বয়বৃদ্ধা ।
আগে রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে থাকতাম আর কেউ বললো ওই বন্দরের ভাঙ্গা বিল্ডিংয়ে থাকতাম দুয়ার নেই জালনা নেই ছাগল কুত্তায় হাড়ির ভাত খাইয়া যাইতো ঘর ভাড়া নেওয়ার টাহা পামু কই খাওয়ার টাহা পামু কই?ছোট্ট এক শিশু দৌড়ে এসে বললো স্যার আগে বই-খাতা জামা কাপুর ভিজ্যা যাইতো এহন ঝর বইন্নায়ও কিছু ওইবো না।
উপহারের ঘরে প্রথম দিনে কেমন কাটছে ছিন্নমূল বাস্তহারা মানুষের দেখতে এসে দেখা মিললো এ যেন খুশির বান শিশু বৃদ্ধ সবার মুখে যেন হাসির ফোয়ারা।যাদের একটু বাঁশের ঘর তৈরীর সম্বল নেই তারা পেল পাকা ঘর সাথে এক টুকরা জমিও।এরা সরকার চেনেনা দল চেনেনা ।শুধু রাজা আসে রাজা যায় তাই জানে।এমনি চিত্র সরেজমিনে দেখা গেল বাগেরহাটের মোংলার অদূরে পাকখালি নামক বিস্তির্ন খাস জমিতে ।এখানকার সুবিশাল মাঠ যেন পড়ে আছে এই সব ছিন্নমূল মানুষকে বুকে আশ্রয় দিতে।প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ঘর ও জায়গা পেয়ে ওরা যেন শিকড় খুঁজে পেয়েছে এ যেন শিকড়ের সন্ধান ওদের ।শুধু ৫০ টি পরিবার নয় হাজার পরিবার এখানে দাড়িয়ে যেন বলতে পারে এ মাটি আমার দেশে আমার।
সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এক যোগে বাগেরহাট জেলার ৯ টি উপজেলায় ভূমিহীন দের জন্যে ৩শ ৩৮ টি ঘর নির্মান ও হস্তান্তর সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।আরো প্রস্তুত হচ্ছে ৪শ ৩৩টি।এ যেন গুচ্ছ গুচ্ছ মানুষের স্বপ্ন গুচ্ছ।
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় অশ্রায়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার শ্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় আরো ৪শ ৩৩ টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে।এ গুলো হচ্ছে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৫২ টি,মোল্লাহাটে ৩৫ টি,কচুয়ায় ৩০টি,চিতলমারীতে ১৭ টি,ফকিরহাটে ৩০টি,মোংলায় ৫০ টি,রামপালে ১০টি মোড়েলগঞ্জে ৬টি,এবং সিডর খ্যতএলাকা শরণখোলায় ১শ ৯৭ টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে।আগের ৩শ ৩৮ টি জমির দলিল সহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।বাকী গুলা যথা সময়ে হস্তান্তর করা হবে ।
একটু সহানুভুতি যেন কিছু মানুষের সারা জীবনের স্বপ্ন।শত শত মানুষ আজ হাত তুলে দোয়া করছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্যে ।একটি পরিবারে পাঁচ সাতজন করে লোক প্রতিঘরে বারো চৌদ্দ খানা হাত যেন প্রার্থনা করে সৃষ্টিকর্তার দরবারে।দীর্ঘ্যজীবি হোক এই দোয়ার রব।