গোধূলির আলো সরিয়ে সন্ধ্যার আনাগোনা
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক,
নেই আর বিকেলের ভেজা রোদের নরম পরশ।
অচেনা বাতাস এসে গল্প শোনায়,
আমার সমস্ত নিঃসঙ্গতা জুড়ে,
আজো তুমি একাকার—
তবুও বিশ্বাসের ঘামের ঘ্রাণ আজো শুকায় নি,
পাষান হৃদয় তোমার…
তাই সে বোঝেনা মনের দূরত্বের ব্যথা।
এই শোনো না গো।
আজ আর তুমি ছাঁদে যেও না,
শুনেছি আমি হিমেল বাতাস বইবে খুব!
তুমি যে বিকেল হলেই মুঠো ফোন হাতে নিয়ে যেতে ছাদে।
আমার ঠিক মনে আছে জানো–
তুমি না পাঁচটা থেকে ছয়টা ছাঁদে কাটাতে।
আমিও তোমার হৃদয়ের স্পর্শ পাবার আশায়,
ছাঁদে গিয়ে বাসা বাঁধতাম বিকেল হলেই।
তোমার ফোনের অপেক্ষায়!
হাঁটাহাঁটি,কত গল্প কথায় মাততে আমার সাথে।
তোমার আমার মুঠো ফোনে বন্দি থাকতো আদর, ভালোবাসা–
আর,কত না মনের গোপন কথা।
আজ কাল আর ছাঁদে যাওয়া হয় না।
তুমি যে বন্দিনী হয়েছো তোমার আপনের কাছে।
নষ্ট ফলের মতো ঘুনপোকা পুষেছো তুমি বুকের ভেতরে।
মিথ্যে ভালোবাসার আশ্বাসে ধুয়ে ফেলেছো চোখের সকল স্বপ্ন।
নাকি বুকের ভেতর সব অসমাপ্ত ইচ্ছে গুলো পূর্ণ করেছো তোমার নতুনের ছোঁয়ায়!
আর তোমার সেই মুঠো ফোন
সেটাও বুঝি বদলে ফেলেছো
যেমন আমায় ছেড়ে ঘর বেঁধেছো যৌবনে টগবগ তোমার নতুনের আবদারে।
তার দেয়া মুঠোফোন টা বুঝি খুব দামী-
সঞ্চয়িতা,সঞ্চিতা, গীতবিতানের থেকেও!
ভাষাহীন নির্বাক অন্তহীন চোখ আজ চেয়ে থেকে হলুদ অভিমানে পুড়ে ছাই হয় বুকের ভেতরটা।
তোমার দেওয়া সেই হলুদ রঙের টি শার্টের মতন—
তুমি আজ উড়ছো ক্লান্তিহীন, তন্দ্রাহীন …
তোমার নতুনের দেওয়া মুঠো ফোনের মতন।
ভিজেছো তুমি প্রেমার্ত তৃষ্ণার উষ্ণ আলিঙ্গনে!
পুষ্পের মতো প্রসারিত তোমাদের বাহু
আলিঙ্গনে জড়াও তোমরা বৈশাখী মেঘের ভেলায় ভেসে।
মুঠো ফোনের ঘ্রাণ মাখো তুমি সারা শরীরে,
জ্যোতিষ্কের শিহরণ বুকে নিয়ে।
তবু; আজো পথ চেয়ে বসে আছি আনমনে উদাসী হাওয়ায় ভেসে।।