না বলতে পারি না কারন আমরা কোন না কোন দিক থেকে ঠিক এখনও পরাধীন।
স্বাধীনতার মূলমন্ত্র কি ছিল আমরা আজকের প্রজন্ম কি সে বিষয় নিয়ে কখনও ভেবে দেখেছি কিংবা ভাবি সে কথা।অনেকে তো এমনও বলে আরে এটা এমনি হয়ে যেত এর জন্য আবার এত কিছু করা লাগে, ফালতু সময় নষ্ট।
স্বাধীনতা পরবর্তিতে যারাই ক্ষমতার মসনদে বসেছে তারা তো সব সময় ব্যস্ত নিজের আখের গুছাতে, কাজের বেলায় শুধু লম্বা ফাকা বুলি। তাদের কি কোনই দায়িত্ব ছিল না বা নেই যে সেই সত্য আর বাস্তব ইতিহাস আজকের প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া, সুসৃংখল উপস্থাপনায় কিন্তু না সেখানেও তাদের জামেলা এটা করা যাবে না ওটা করা যাবে না।এসব করতে করতে দিন শেষ আর পরিসমাপ্তি হল শূন্য হিসাব, মানে এই প্রজন্ম ইতিহাস থেকে অন্ধকারেই রয়ে গেল। তাই সময়ের দাবি এখনও সময় আছে সত্য আর বাস্তবসম্মত ইতিহাস কে তু্লে ধরার, না হয় একটা দিন এই নির্মম সময় আপনাদেরকেও ছেড়ে কথা বলবে না,মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময় কার কি অবদান ছিল তার বিস্তারিত প্রকাশ করেন কোন প্রকার কাট ছাট ছাড়া। এখনও আমাদের যুদ্ধকালীন বহু প্রত্যক্ষদর্শী বেচে আছে, আর তারা হয়ত বেশি দিন বেচে থাকবে না সে কারনে তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করুন।
এই তরুন প্রজন্ম যাতে জানতে পারে তার ইতিহাসের সব ঘটনা এবং গর্ব করে বলতে পারে নিজের মাতৃভূমির কথা।
আমরা তরুনরা দূর্নীতি আর ক্ষূধাত্ব দেশ দেখতে চাই না, হয়ত আপনারাও তেমন কামনা করেন না তবুও জনাকয়েক অমানুষের কারনে ভাল কাজ গুলো ম্লান হয়ে যায় মেঘে ঢাকা আধারের তলে, এমন কুসন্তানদের চিহৃ করে তাদের কঠিন শান্তির রায় শোনালে হয়ত পরবর্তিতে এমন অসৎ কাজে অন্যরা প্রবৃত্ত হবে না।
এই আজকের মহান বিজয় দিবসে আমাদের সকলের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকার করা উচিত, আমি আর দেখা অদেখা যেমনই হোক না কেন দেশ সমাজ মানুষের ক্ষতি সাধিত হয় এমন কোন কাজে নিজেকে জড়াব না।
আর তখনই আমরা পারব এমন অঙ্গিকারে বাস্তবতা যখন আমরা নিজের অদম্য লিপ্সা আর চাহিদাকে আয়ত্তের মধ্যে রাখতে।
সর্বপরি, দেশ সমাজ আর দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মঙ্গল কামনা করে আজ এই পর্যন্ত।
আজম পাটোয়ারী
প্রকাশক, বাতায়ন24.কম
টরকী, মতলব উত্তর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ।