আপনার শৈশবে কি আপনার বাবা-মা কী খুব কঠোর ছিলেন আপনার প্রতি ? তারা আপনাকে প্রতিনিয়ত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বলতেন ?
সভ্যতার সেই আদি থেকে আজ অবধি বেশির ভাগ সন্তানের কাছেই এমনটি হয়েছে যেখানে পরিবারের অন্যদের তুলনায় মা ছিলেন প্রধান শত্রু বিবেচ্য!
এই মা ছিলেন সন্তানদের নিত্যদিন পেছনে লেগে থাকা এবং বলে বলে হাজার কাজ করানোর জন্য আর তা আপনার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিলো হয়ক কখনও কখনও।
কিন্তু আপনি কী জানেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কঠোর মায়ের সন্তান ভবিষ্যতে সফলতা অর্জনে বেশি সক্ষম হয়।
সুতরাং, তখন আপনার মায়ের সেই কঠোর আচরন অসহ্য মনে হলেও ভবিষ্যতে আপনি আপনার সফল কাজের জন্য আজকের কঠোর মা’কে হাজর বার ধন্যবাদ জানাবেন এবং হল এটিই সত্য।
এসেক্সের ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক এরিকা র্যাসকন, তার উপর একটি গবেষণা চালিয়েছেন যেখানে প্রমাণিত হয়েছে যে কঠোর মায়ের সন্তানদের সাফল্যে পরিপূর্ণ এবং সে সকল মায়েরা তাদের সন্তানদের শৈশবে বেশি শাসন করেছিলেন।
তার মতে, শৈশব থেকেই সন্তানের পড়াশোনার ব্যাপারে পিতা-মাতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বিশ্বাস তাদেরকে খ্যাতির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে, এই গবেষণা এটিই প্রমাণ করেছে।
যে সকল বাচ্চার মায়েদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিলো তারা বর্তমানে অধিক আত্নবিশ্বাসী ও নিরাপদ। গবেষণায় এটিও প্রমাণিত হয়, যে সকল মেয়েদের মায়েরা অতিরিক্ত কঠোর ছিলেন তাদের মধ্যে অল্প বয়সে মা হবার প্রবণতা শতকরা চার ভাগ কম।
কঠিন ও রাগী মায়ের সন্তান দ্রুত গ্র্যাজুয়েট হতে পেরেছে এবং সাথে ভালো চাকরিও পেয়েছে। এই কথা শুনতে অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু শৈশব থেকে কঠোরতায় বড় হওয়া সন্তানেরা সফলতার এগিয়ে থাকে!
এমন অনেক বাচ্চা আছে যারা তাদের মা’কে সাক্ষাত যম মনে করে থাকে। কিন্তু এটা নিশ্চয়তা সহকারে বলা যায় যে এ শাসন পরবর্তী জীবনে বেশ সাহায্য করবে একটা বাচ্চার জন্য। বয়স বাড়ার পর সে তার মা’কে বারবার ধন্যবাদ জানাবেন সুন্দর ও অভাবনীয় একটি জীবনের জন্য। শুধু তাই নয়, সেই মায়ের দেয়া শিক্ষায় আপনি আপনার সন্তানকেও শিক্ষিত করতে চাইবেন।
তাই মায়েদের উচিত আদর সোহাগের পাশাপাশি শিশুকে একটু শাষন করা, যাতে সে সঠিক শিক্ষা গ্রহন করতে পারে এবং নিজের ভাল মন্দ নিজে বুজতে শিখে।
আজকে শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যৎ, সুন্দর আর নিরাপদ হোক প্রতিটি বাচ্চার জীবন এই হোক কামনা।