সম্পাদনা : সাবরিনা ইসরাত জুই
কম বেশি সব মানুষেরই বয়ঃসন্ধি কালে হয়ে থাকে। আজ আমরা ব্রন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ও এর চিকিৎসা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোকপাত করব।
তাহলে চলুন আজকের বিস্তারিত আলোচনায়।
প্রথমে ব্রণ সম্পর্কে একটু জেনে নেই :
ব্রণ হওয়ার জন্যে সুনির্দিষ্ট কারণ না থাকলেও সাধারনত বয়ঃসন্ধি পর্যায়ে শরীরে আন্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরে সিবামের মাত্রা বাড়ে এবং মুখ, পিঠ, বুক ইত্যাদিতে ব্রণ দেখা দেয়। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ হয় । সেবাম হল সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ যা মাথা, মুখ, বুকের উপর অংশ ও পিঠ ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব এর তৈরি করে । ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি ব্রণ সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
★ ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়স্ক নারীদের মধ্যেও অনেক সময় ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। মূলত লিঙ্গ নির্বিশেষে টেস্টোস্টেরন এর মত এন্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, বুকের উপর অংশ ও পিঠ ইত্যাদি জায়গায়) তেলতেলে ভাব বেরে যায় । যদি কোনো কারনে সিবেসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম এর কারনে ভেতরে জমে ফুলে উঠে যা ব্রণ (acne) নামে পরিচিত।
★ ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর ব্রণের মুখ বন্ধ থাকায় তা সাদাটে দেখায়। এবং ব্রণের চারপাশে প্রদাহ শুরু হয় তখন এর রং লাল দেখায়। এর উপর জীবাণু সংক্রমণ ঘটলে পুঁজ তৈরি হয়। বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভীর হতে পারে।
★ বয়স যখন কম থাকে তখন অনেক সমস্যায় দেখা দেয়। যেমন টিনেজদের ব্রণ সমস্যা। শিশু থেকে একটু যখন বয়স বাড়তে থাকে তখনই এই সমস্যা দেখা দেয়।তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটা পণ্যে ‘নন-কমেডোজেনিক’ লেখা আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। এটা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
কখন ও কোথায় ব্রণ হয় :
বয়ঃসন্ধির সময় প্রথম ব্রণ দেখা যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৯ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে। তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখেই দেখা যায়, তবে পিঠে, ঘাড়ে ও বুকেও হতে পারে।
শরীরের কোন কোন অংশে ব্রণ দেখা দেয় :
সাধারণত ব্রণ দেহের চর্বিযুক্ত গ্লান্ড সেবাকাস বেশি দেখা যায় টিস্যুতে। যেমন মুখ, বুক, ঘাড় ও কাঁধে। সাধারণত ১২-১৪ বছরের ছেলেমেয়েরা এই রোগে বেশি ভোগে। তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণ বেশি হতে দেখা যায়। অনেক সময় ২০-৩০ বছরের পর এর প্রভাব কমে গিয়ে ভালো হয়ে যায়। ব্রণের ফলে মুখ ও ঘাড়ের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় ও মুখে ব্ল্যাকহেড, ছোট গুটি এবং ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। বেশি দেখা যায় ব্ল্যাকহেড বা কালো তিল। এতে আক্রান্ত হয় কপাল, কপালের পাশে, গলা, চিবুক, বুক ও পিঠ। এই ব্ল্যাকহেডগুলো সংক্রামক এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করে থাকে। ব্রণ বেশিদিন স্থায়ী হলে মুখে বিশ্রী দাগ দেখা যায়। দেখা গেছে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এই রোগে বেশি ভোগে। এর সঠিক কারণ অবশ্য নির্ণয় করা যায়নি। তবে মেয়েদের ত্বকের নিচে চর্বির পরিমাণ বেশি এবং হরমোনের পরিবর্তনগুলোও ছেলেদের চেয়ে বেশ প্রকট হওয়ায় ব্রণ দেখা যায় বলে ধারণা করেন বিশেষজ্ঞরা।
কী কারণে ব্রণ বেড়ে যায় :
গরমকালে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। বেশি ঘামলে সেবেশাস ও তৈলগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে ব্রণ হতে পারে। এ ছাড়া নানা রকম কসমেটিকের কারণে ব্রণ হতে পারে। তেলতেলে চুল ও মাথার খুশকি থেকে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানসিক চাপ ও পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গেও ব্রণের সম্পর্ক রয়েছে।
ব্রণের প্রকারভেদ ব্ল্যাকহেডস :
লোমকূপ যখন আংশিকভাবে বন্ধ থাকে তখন কিছুটা নিঃসৃত তৈল, ব্যাকটেরিয়া ও মরা কোষ মিলে ব্ল্যাকহেডস তৈরি করে। ব্ল্যাকহেডস দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- হোয়াইটহেডস :
ত্বকের লোমকূপ বন্ধ থাকার কারনে সিবাম নিঃসরণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে ত্বকের মরা কোষ ও ব্যাকটেরিয়া মিলে একধরনের সাদা ফুষ্কুরি তৈরি করে। তবে হোয়াইটহেডস অন্যান্য ব্রণের চেয়ে কম সময় ধরে থাকে অর্থাৎ এদের জীবনচক্র ছোট। - প্যাপুলস :
ধরনের ব্রণের সাধারনত কোন মাথা থাকেনা অর্থাৎ বাহিরের দিকে খুব বেশি ফুলে থাকেনা। এই ধরনের ব্রণের সমস্যা হলে ব্রনে চাপাচাপি না করাই ভালো, চাপাচাপি করলে মাত্রা আরো বেড়ে যেতে পারে। - ট্রপিক্যাল একনি :
অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে, উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে। - প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি :
কোনো কোনো মহিলার মাসিকের সাপ্তাহ খানেক আগে ৫-১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়। - একনি কসমেটিকা:
কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে। - একনি ডিটারজিনেকস:
মুখে অতিরিক্ত ভাবে সাবান দিয়ে ধুলেও ( দৈনিক ১/২ বারের বেশি ) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। - স্টেরয়েড একনি:
স্টেরয়েড ঔষধ (medicine) সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমন–বটানোবেট ডার্মোভেট জাতীয় । ঔষুধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায় ।
ব্রণ হওয়ার কারন বা কি কারণে ব্রণ হতে পারে :
ভুল খাদ্যাভাস,
অনিয়মিত আহার গ্রহণ,
অনুপযোগী খাবার,
অত্যধিক শর্করা,
অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদির জন্য ব্রণ দেখা দিতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ।
অত্যধিক চা কফি অ্যালকোহল পান, তামাক সেবন ইত্যাদিও এর কারণ। আবার বয়ঃসন্ধিক্ষণে রাত জেগে পড়াশোনা ও বসে থাকার ফলে বদহজম সৃষ্টি হওয়া, সাধারণ দুর্বলতা ও দুশ্চিন্তা থেকেও ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্রণ কেন হয় :
ব্রণের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না হলেও সাধারণত দেখা যায় হজমের গোলমাল, সুরাপান, বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়।আবার অনেকেই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ব্রনের অনেকগূলো কারণের ভিতর বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেরে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হতে থাকে।
★জেনেটিক :
কিছু ব্যক্তির ব্রণের পেছনে জেনেটিক উপাদান যেমন TNF-আলফা, IL-1 দায়ি ফলে পরিবারের কার ব্রণ থাকলে তার সন্তানদেরও ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
★ হরমোন :
অধিকাংশেরই ধারণা, ব্রণ কেবল বয়ঃসন্ধিকালেই বেশি হয়। মাসিক চক্র এবং বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের মাত্রাধিক্যের কারণে ব্রণ হয়। এবং বয়ঃসন্ধিকালে ও গর্ভকালীন সময়ে, অ্যান্ড্রোজেন বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত সিবাম তৈরি হয় যা ব্রণ হওয়ার জন্যে দায়ি ।
★মানসিক চাপ :
ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। বংশগত কারণ বা হেরডিটারি ফ্যাক্টর আবার খুব বেশি দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ , অনিদ্রা ব্রণ হওয়ার প্রধান কারন ।
★ত্বকে ঘর্ষণ বা চাপ লাগা:
ত্বকে টেলিফোন, সেলফোন, হেলমেট, শক্ত কলার ও ব্যাগ ইত্যাদির ঘর্ষণ বা চাপ লাগার ফলে ব্রণ হতে পারে। ।
★খাদ্য :
দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সেবাম উত্পন্ন হয় যা ব্রণের কারণ । তৈলাক্ত, ঝাল, ভাজাপোড়া খাবারসহ চকলেট, আইসক্রিম ও অন্যান্য ফাস্টফুড খাওয়া ইত্যাদি খাদ্য অভ্যাসকে ব্রণ হওয়ার জন্যে কিছুটা দায়ি করা হয় ।
★ক্যাফেইন :
খুব বেশি চা বা কফি খেলে ব্রণ হয় ।কারণ এইসব পানীয়তে রয়েছে ক্যাফেইন নামক পদার্থ যা সেবাম তৈরি করে ।ফলে ব্রণ তৈরি হয় ।
★অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার :
যেমন চকলেট,ক্যান্ডি,মিষ্টি বিস্কুট ,এমনকি জুস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ।যে কারণে ব্রণ ব্যকটেরিয়া সতেজ হয়ে থাকে ।
ব্রণ এর পূর্ব লক্ষণ :
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। আক্রান্ত স্থানে লালচে রং ধারন করে ।ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর ব্রণের মুখ বন্ধ থাকায় তা সাদাটে দেখায় যা পরে পুজে পরিনত হয় ।
ব্রণ হলে যে ৫ খাবার নয় :
ব্রণ একটি বিরক্তিকর সমস্যা। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় এই ব্রণ। মুখে ব্রণ দূর করতে আমরা কত কিছুই না করি। তবে ব্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে বিষয়টি প্রভাবিত করে, তা হলো খাদ্যাভ্যাস। যদিও সব খাবার সবার শরীরে একই প্রতিক্রিয়া দেখায় না। তারপরও কিছু খাবার আছে, যা মুখে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
তাই ব্রণ হলে যে পাঁচ খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত তা হলো
পাউরুটির গ্লুটেন বাড়িয়ে দেয় ব্রণের সমস্যা।
★ পাউরুটি :
প্রতিদিন সকালে পাউরুটি বা ব্রেড–জাতীয় খাবার দিয়ে নাশতার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তবে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো খাদ্যতালিকায় থাকা এই পাউরুটি। গ্লুটেন হলো একধরনের প্রোটিন, যা পাওয়া যায় গম, যব, রাই ও ওটস–জাতীয় খাবার, অর্থাৎ পাউরুটিতে। আর এই গ্লুটেনের কারণেই বাড়ে ব্রণ।
★ দুধ :
শরীরের জন্য সুষম খাবার। খাদ্যতালিকায় তাই রোজ এক গ্লাস দুধ রাখতে বলা হয়। তবে দুগ্ধজাত খাবার ইনসুলিনের বিপরীতে কাজ করে। আর যার ফলে ব্রণের সমস্যা বাড়ে। তারপরও খাবারের তালিকা থেকে দুধ বাদ না দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সোডায় অতি মাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে।
★ আলুর চিপসে :
আলুর চিপসে থাকে অধিক শর্করা, ঝটপট নাশতায় আলুর চিপস আমাদের অনেকেরই প্রিয়। তবে এই আলুর চিপসই বাড়ায় মুখের ব্রণ। এতে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা আছে, যা শরীরে ইনসুলিনের বিপরীতে দ্রুত কাজ করে। ব্রণের ব্যথা-বেদনা বাড়িয়ে দেয়।চকলেটের চিনিতে বেড়ে যায় মুখের ব্রণ।
★ সোডা :
সোডা–জাতীয় পানীয়তে আসলে তেমন পুষ্টিকর কিছু নেই। এটি ত্বকের জন্য একদমই ভালো নয়। এতে ফ্রুকটোজের মাত্রা অত্যধিক থাকে। আর ফ্রুকটোজ হলো মূলত চিনি, যা মুখে ব্রণের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
ব্রণের কালো-দাগ দূর করার উপায় :
অনেকেরই মুখে দেখা যায় ব্রণ ও কালো ছোপ ছোপ দাগ। এ জাতীয় ব্রণ ও কালো দাগ হলে প্রথম থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। ত্বকের ক্ষেত্রে অবহেলার ফল মারাত্নক হতে পারে। আর নষ্ট করে দিতে পারে আপনার সুন্দর চেহারার সৌন্দর্য মুখের এসব কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার জন্য বাড়তি একটু পরিচর্যা দরকার আরও কিছু টিপস নীচে দেওয়া হলঃ :
★ ব্রণের কাল দাগ করার জন্য নিয়মিত মুখে ব্যবহার করুন পাকা পেঁপের শাঁস ও শশার রস । ১ চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চামচ শশার রস মুখে মেখে নিন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
★ ১ টি ডিম,হাফ চামচ অলিভ অয়েল, একটি গোটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন, এটি নখ, গলা, হাত ও ঘাড়ের কালো ছোপে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দাগ, হাত, ঘাড়ের কালো ছোপ ইত্যাদি সেরে যাবে।
★ হাফ চামচ দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং আপেল এবং কমলার রস মেশান। এবার মিশ্রনটা ত্বকে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
★ ২ চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার এটা আক্রান্ত স্তানে মাখিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
★ কমলার খোসা শুকিয়ে বেটে পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করুন ।এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে মেখে ২৫-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
★ গোলাপ জল ও লেবুর রস মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
★ হাফ চামচ চিনা বাদাম বাটা, ২ চামচ দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২৫-৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আস্তে আস্তে ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে।
★ ব্রণের দাগ ও ব্রণের উপর লবঙ্গ বেটে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। টানা ১ মাস এভাবে লাগালে দাগ কমে যাবে।লবঙ্গে ঝাঁঝ থাকে বলে লাগানোর প্রথম ৫-৭ মিনিট ত্বক জ্বলবে, কিন্তু এতে কোনো সমস্যা হবে না। কিছুক্ষণ পর জ্বলা ঠিক হয়ে যাবে।লবঙ্গ বাটার সময় এতে একটু পানি মিশিয়ে নিবেন।
ব্রণ হওয়ার আগেই চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কি করবেন :
দিনে ৮-১০ গ্লাস পর্যন্ত পানি এবং তেল-ঝাল-মসলাবিহীন খাবার খাওয়া ভালো। অত্যধিক গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। চিনি ছাড়া লেবুর পানি, তাজা ফলের রস, আঙুর, আপেল, নাশপাতি, আনারস খেতে পারলে ভালো হয়। কাঁচা সবজি অঙ্কুরিত ছোলা, কাঁচা বাদাম, ডাল, যব ও লাল চাল খুবই উত্তম। অধিক শর্করা, অধিক মিষ্টি, অধিক চর্বি সবই পরিহার করা ভালো।

★ প্রতিদিন রাতের খাবারের পর যেকোনও ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে।
★ সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখা বাইরে থেকে আসামাত্র মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা এছাড়া হালকা গরম পানির স্টীম নিতে পারেন। এতেকরে ত্বকে জমে থাকা ধূলোবালি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
★ অনেকেরই নখ দিয়ে ব্রণ খোটার বাজে অভ্যাস রয়েছে।আমাদের বুঝতে হবে এটা কোন সমাধান না। ব্রণ কে না খুঁটিয়ে দিনে অন্তত তিনবার মুখ ভালো কোনো ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। না হলে উল্টো এতে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এর ফলে ব্রণ লাল হয়ে যাবে। এমনকি তা ফেটে গিয়ে মুখে দাগের সৃষ্টি করবে। ব্রণ না যাওয়া পর্যন্ত মেক-আপ ব্যবহার না করাই উচিত। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
★ ত্বকের তৈলাক্ততা কমানোর জন্য সাবান এর বদলে ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে কয়েকবার মুখ ধুতে হবে।
★ তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে মুখ মুছতে হবে, সেটাও বারবার ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।
★ বেশি বেশি করে শাক-সব্জি ও ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে হবে ।
★ প্রচুর পরিমাণে তেল, ভাজাপোড়া খাবারসহ চকলেট, আইসক্রিম ও অন্যান্য ফাস্টফুড খাওয়া পরিহার করতে হবে। ভাজা খাবার যদি খেতেই হয় তবে স্বল্প পরিমাণে
★ প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন ।
★ তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।
★ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।
★ রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং মানসিক চাপ পরিহার করুন।
কি কি খাওয়া সমস্যা বাড়ায় :
কিছু কিছু খাবার ব্রণের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
যেমন—ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, সংরক্ষিত খাবার। কড়া চা ও কফি, গুরুপাক খাবার।
ব্রণ সারাতে কি করবেন :
ব্রণ সারাতে খনিজ লবণের মধ্যে জিঙ্ক, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ ভালো কাজ করে থাকে। এজন্য খেতে হবে শস্যজাতীয় খাবার, গরুর কলিজা, মাছ, মসুর ডাল, বরবটি, রাজমা, পনির, কর্নফ্লেকস, ডিম, গরুর দুধ, তেল, মুলাজাতীয় সবজি, তৈলবীজ, বাদাম, সবুজ সবজি।
কি কি ভিটামিন গ্রহণ করবেন :

ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়। যেভাবেই হোক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা প্রয়োজন। চিকিৎসক এবং ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রণ হলে ত্বকের যত্ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত প্রয়োজন। মুখের ত্বকের যত্ন হলো প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তাছাড়া শসার রস, গাজরের রস মুখে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। অত্যধিক গুরুপাক খাবার না খাওয়া, অধিক রাত না জাগা, শরীরে ধুলাবালি, ঘাম জমতে না দেওয়া, অ্যাসিডিটি হতে না দেওয়া। ভালো হয়, মাঝেমধ্যে গরম জলের ভাপ নিলে।
ব্রণের চিকিৎসা
কিছু নিয়ম অবলম্বন করলেই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনেকের ধারণা, কোনো বিশেষ খাবার খেলেই ব্রণ হয়ে থাকে। আসলে এটি ঠিক নয়। কোনো খাবার খেলে যদি ব্রণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সে খাবারটি বাদ দিতে হবে। তবে প্রচুর ফলমূল ও পানি খেতে হবে। মুখে বেশি ব্রণ থাকলে রাসায়নিক কোনো উপাদান বা কসমেটিক ব্যবহার করা ঠিক নয়, যথাসম্ভব প্রাকৃতিক বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করা ভালো কারণ এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বেশির ভাগ ব্রণ নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে সেরে ফেলা সম্ভব।ব্রণ হলে কী করবেন :
★ দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।
★ ব্রণে হাত লাগাবেন না।
★ মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
★ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা গামছা বা তোয়ালে ব্যাবহার করুন।
★ রাতে সঠিক ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
★ মানসিক চাপ মুক্ত হোন।
★ প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন।
★ কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে।
★ ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
ব্রণ হলে কী করবেন না:
★ রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন।
★ তেলযুক্ত উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। তেলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
★ রাতে ঘুমানোর সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
★ ব্রণে হাত লাগাবেন না ও খুঁটবেন না।
★ ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।
★ বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। মাংস কম খাওয়ার চেষ্টা করুন ।
★ ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে, এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।
★ কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।
★ রাগ উত্তেজনা কমান ।
ব্রণের চিকিৎসা :
ব্রণের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ বা ডার্মাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হলে ভালো হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্রণে অন্যের কথা শুনে বা নিজের পছন্দসই কোনো ওষুধ লাগাবেন না। কতটা বেশি ব্রণ হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে খাবার ও লাগানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়। তবে ব্রণের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। তাই ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে। হঠাৎ চিকিৎসা পদ্ধতি বা ডাক্তার বদলাবেন না।
ব্রণ ও খাওয়া-দাওয়া :
গবেষণা দেখা গেছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ব্রণকে প্রভাবিত করে , ব্রণ হওয়ার উপাদানগুলোর মাঝে খাওয়াদাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রথমত, শরীরে টক্সিক উপাদান যাতে বেরিয়ে যায় এ জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রেখে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে। হজম যাতে ঠিকমতো হয়, সে জন্য অতি মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন; তেল, চর্বি এড়াতে হবে। পালংশাক ও লেটুসপাতা ব্রণ বাড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে। ক্লোরাইড ও ব্রোমাইডযুক্ত ওষুধ, সামুদ্রিক মাছ, মাখন, পনির এগুলো ব্রণ বাড়িয়ে তোলে

চা, কফি দুই কাপের বেশি পান করা যাবে না। প্রচুর ফল ও সবজি খেতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। গাজর, কুমড়া, পেঁপে, পুঁইশাক ও যেকোনো রঙিন ফল ও সবজিতে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে আর ‘সি’ রয়েছে কাঁচা ফল ও যে কোনো টক ফলে।
তবে যাদের ব্রণ হচ্ছে, এ নিয়ে একেবারে ভয়ে পড়ার কিছু নেই। সঠিক চিকিৎসা ও কিছু নিয়ম মেনে চলা আর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ব্রণ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
★ ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও প্রতিরুধের টিপস
★ ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন । পরিষ্কার রাখার জন্যে নিয়মিত স্ক্রাবিং করুতে পারেন
★ ব্রণে কখনও নখ দিয়ে স্পর্শ করবেন না
★ দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে অথবা গোলাপজল নিয়মিত ব্যবহার করলে ও ব্রণ কমে যায় ।
★ ধনিয়াপাতা ও হলুদ গুঁড়ার মিশ্রণ ব্রণ কমানোর জন্যে অত্যান্ত কার্যকর । মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
★ চর্বিযুক্ত ও তৈলাক্ত পদার্থ: আপনার ত্বকের কোনো অংশ লোশন, ক্রিম বা চর্বিযুক্ত পদার্থের সংস্পর্শে থাকলে সেখানে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ।
★ কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলাতে ভিজিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ।
★ সব ধরনের প্রসাধনী বর্জন করতে হবে। ঘন ঘন মুখমণ্ডল স্পর্শ না করা ।
★ চিবুকের সঙ্গে টেলিফোন চেপে না ধরা ।
★ রোদ এড়িয়ে চলুন। ত্বকের ছিদ্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী তৈলাক্ত ক্রিম ব্যবহার না করা ।
★ সরিষাতে প্রচুর পরিমাণে স্যালিসিলিক এসিড রয়েছে, যা খুব সহজেই ব্রণের জীবাণুকে ধ্বংস করে।
ব্রণ চিকিৎসা – হারবাল উপায়ে :
বসন্ত শেষে এবার গ্রীষ্মের তাপদাহের পালা। বাইরে বের হলে গরমের তাপ ভালো মতোই টের পাওয়া যাচ্ছে। আর এ গরমের দাবদাহে আপনার ত্বকও নাজেহাল হয়ে যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। আমাদের ত্বকের তৈল গ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় তখন এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে ব্রণ পরিবর্তন করে ব্রণের আকার ধারণ করে। সাধারণত টিনেজার মেয়েরাই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন। বাজারের দামি কসমেটিক্স এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজেই আপনার ব্রণ কমাতে সাহা্য্য করবে। আর ঘরোয়া সামগ্রীই সবচেয়ে ভালো আর নিরাপদ। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও ভয় থাকেনা।
ব্রণের হারবাল / ভেষজ চিকিৎসা:
ব্রণ থেকে মুক্তির সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে সচেতনতা। যাহোক আমি আপনাদেরকে ব্রণ নিরাময়ে কিছু ভেষজ পদ্ধতি পরামর্শ দেব। যা আপনারা ঘরে বসেই করতে পারবেন। আর কিছু চোখে পড়ুক কি না পড়ুক, আপনার মুখের ব্রণ সবার আগেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই বুঝি মুখকে ব্রণমুক্ত রাখতেই আপনার সকল প্রয়াস। ব্রণ শরীরের যেকোন জায়গায় দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পিঠে। মুখের চেয়েও বেশি দাগ ফেলে পিঠের ব্রণ। তাই ব্রণ যখন আপনার পিঠকে কালচে দাগে ভরে দিচ্ছে, তখন সমালোচকরা পিঠ পিছে কথা তো বলবেই। তবে আর নয় কিভাবে পিঠের ব্রণ থেকে পরিত্রাণ পাবেন তা জেনে নিন। ঘরোয়া এই উপায় ম্যাজিকের মত উধাও করে দিবে পিঠে ব্রণ। ব্রণ শরীরের যে স্থানেই হোক না কেন, তা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। পিঠের ত্বক মুখের ত্বকের চেয়ে বেশি মোটা ও কম স্পর্শকাতর হয়। তাই অনেকটা নিশ্চিত ভাবেই পিঠে যেকোন উপাদান এপ্লাই করা যায়।
★ শশা ত্বককে আদ্র রাখে এবং ময়লা পরিষ্কার করে। তাই পিঠে নিয়মিত শশার পেস্ট ব্যবহার করলে লোমকূপ পরিষ্কার থাকে। তখন ত্বক অক্সিজেন নেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ থেকে ব্রণ কমায়। চাইলে শশার টুকরো নিয়ে সরাসরি পিঠে ঘষতেও পারেন। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
★ মূলতানী মাটি তৈলাক্ত ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নেয়। ত্বকের তেল ব্রণ উৎপন্নের কারণ। মূলতানী মাটির সঙ্গে চন্দনগুঁড়া ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে পিঠে দিতে হবে। যাদের টমেটোতে সমস্যা নেই তারা গোলাপ জলের পরিবর্তে মাঝে মাঝে টমেটোর রসও দিতে পারেন।
★ লেবুর রস- লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। রয়েছে এল-এসকোরোবিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। একটি তুলোর টুকরোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। সারা রাত রাখুন। ব্রন দূর করতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর। পিঠে লেবু ঘষুন সপ্তাহে দু’বার। এতে ত্বকের পি এইচ মাত্রা বজায় রেখে ব্রণ ও ব্রণের দাগও কমবে।
★ বেকিং সোডা পরিষ্কার করতে পারে না, এমন দাগ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। কাঠ, প্লাস্টিক, দেয়াল তো আছেই, ত্বকের যত্নেও কার্যকরি উপাদান। পানিতে বেকিং সোডা গুলে নিয়ে কিছুক্ষণ ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখতে হবে। পিঠের মৃতকোষ তোলার সঙ্গে ব্রণের দাগও সরিয়ে ফেলবে।
★ ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্রণ শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। তাই স্ক্রাবিং পুরো দেহের জন্যই প্রযোজ্য। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশা এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।
★লবঙ্গ :
মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে তা খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
★কদবেল :
টক স্বাদের কদবেল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলাতে ভিজিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
★পাতিলেবুর রস :
যাঁদের ব্রণের পরিমাণ অত্যধিক বেশি তাঁরা পাতিলেবুর রস দিনে দুই তিনবার ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।ধনিয়াপাতা ব্রণ সারাতে কার্যকর। ধনিয়াপাতা বেটে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ পর ধুয়ে ফেলুন।
★এসপিরিন:
নিউইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট এবং স্কিন রুলস বইয়ের লেখক ডেবরা জেলিমান জানান, এসপিরিন হলো এক ধরনের সলিসিলিক এসিড। একনি বা ব্রণ দূর করার পণ্যগুলোতে এই উপাদান ব্যবহার করা হয়। এসপিরিন গুঁড়ো করে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তুলার মধ্যে লাগিয়ে এই পেস্ট সরাসরি ব্রণের মধ্যে ১০ মিনিট রাখুন। এর পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
★ চা – গাছের তেল :
চা-গাছের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। কয়েক ফোঁটা চা-গাছের তেল তুলার মধ্যে লাগিয়ে খুব নরমভাবে ব্রণ ও দাগে লাগান। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে ব্রণ সেরে উঠেছে।
★ রসুন:
রসুনের গন্ধ হয়তো আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ দূর করে। রসুন দেহের বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধেও উপকারী। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। রসুনে রয়েছে এলিসিন ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রসুন কেটে পানির সঙ্গে পেস্ট করুন। এরপর ব্রণের মধ্যে পাঁচ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
★ বরফ:
ড. জেলিমান জানান, গোড়ালি মচকে গেলে এর ফোলা কমাতে বরফ কাজ করে। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে।
★ মধুঃ
ব্রণের সমস্যা এত বিচ্ছিরি একটা ব্যাপার যে তা যেন আপনার সমস্ত সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। নারী হন বা পুরুষ, মুখে ব্রণ কারো ক্ষেত্রেই ভালো লাগে না দেখতে। নানান রকম চিকিৎসা করিয়ে যারা হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য রইলো ব্রণের আরেকটি ঘরোয়া চিকিৎসা। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ ওঠা শূন্যের কোটায় চলে যাবে, আবার চট জলদি ব্রণ কমাতেও এর জুড়ি নেই। ত্বকের জন্য সর্বদা প্রাকৃতিক চিকিৎসাই সবচাইতে উপকারী!
➢খাঁটি মধু সংগ্রহ করুন ,মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক তাই চট জলদি ব্রণ কমাতে ব্রণ কমাতে মধুর জুড়ি নেই।
➢ ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন ।
➢ আঙ্গুলে মধু নিয়ে ভেজা ত্বকেই লাগান। তারপর অল্প একটু ম্যাসাজ করে ১০/১৫মিনিট রাখুন।
➢ সবশেষে পানি দিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। অন্তত ১/২ ঘণ্টা মুখে কোন প্রসাধন লাগাবেন না। ।
কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠঃ
হলুদের এক নাম ‘হরিদ্রা’ কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান।সকালে খালি পেটে ২ টুকরো কাঁচা হলুদ ও ২টা নিমপাতা একসঙ্গে খেলে ব্রণ সেরে যায় । সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট করুন মিশ্রণটি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ।
★ তুলসি পাতার রসঃ
তুলসি পাতায় আয়ূর্বেদিক অনেক গুন থাকার কারনে তুলসি পাতার রস ব্রণের জন্যে খুব উপকারী। পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।এরপর হালকা গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
★ জলপাই তেলঃ
আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়।প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল কিছুটা গরম করে নিন।তারপর তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন, নিচের থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ১/২ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক থেকে মেকআপ এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে।এরপর হালকা গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে নিন ।প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে ।
★ পুদিনা পাতাঃ
ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে তাজা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে।পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সাথে ত্বকের জ্বালাপোড়াও দূর করবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলো দূর করতেও পুদিনা পাতা উপকারী।রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস এক সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
★ নিমপাতাঃ
খুব ভালো জীবাণুনাশক। নিমপাতা পেস্ট করে নিন।এবার এতে চন্দন গুঁড়ো মেশান। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। ১ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম টাটকা নিমপাতা ফুটিয়ে এই পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

★ ত্রিফলাঃ
ব্রণ তাড়ানোর জন্য একটি কার্যকরী উপাদান হলো ত্রিফলা। পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যার জন্য এটি খুবই উপকারি। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো রিস্ক নিয়ে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করে যদি ন্যাচারাল কিছু আপনার কাজে আসে তাহলে কেন আপনি ত্রিফলা ব্যবহার করবেন না? আর যদি সেই ন্যাচারাল কিছু খুব সহজেই পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই।ত্রিফলা বাজারে শুষ্ক ফলের মত অবস্থায় পাওয়া যায়। অনেক কম্পানি এটি কে নানা ভাবে প্রক্রিয়াজাত করেও বিক্রি করে। তবে সবচেয়ে নিরাপদ হবে যদি আপনি শুষ্ক ফল এর মত অবস্থায় ত্রিফলা ব্যবহার করেন। ত্রিফলা হল ৩ টি ফলের মিশ্রন। এতে থাকে আমলকি হরিতকি, বহেরা থাকে । ত্রিফলা রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে খালি পেটে রস টি ছেকে খেয়ে নিতে হবে। ত্রিফলা ব্রণ দূর করার জন্যে একটিকার্যকরী ফর্মুলা ।
★ গোলাপ জলের টোনার :
প্রতিদিন মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী। কারণ লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারী টোনার হিসেবে কাজ করে। গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের ব্যথা ও দাগ অনেকটাই কমে যাবে। পানিতে গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তেল মুক্ত থাকবে । বরফ হিসেবে ব্যবহার করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও ভালো।
★ বেকিং সোডাঃ
আমাদের ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে। এগুলোর জন্য ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। তাই ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ ভালো স্ক্র্যাবার। প্রথমে বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে, ব্রণের দাগ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।
★ ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রসঃ
ডিমের সাদা ও লেবুর রস অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন ।এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে ।
আজ সৌন্দর্য্য কথনে আমরা ব্রন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, আমাদের পরবর্তি পর্বে আমরা নতুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ততক্ষন আমাদের সাথে থাকুন।