পর্বত সম কষ্ট করে
দাঁড়িয়ে আছে এক তরুণী
বারান্দার ধারে
প্রেমিক আসবে বলে।
দূর বহুদূর থেকে তার প্রিয় আসবে,
সে ভাবে আর বসে থাকে।
দাঁড়িয়ে থাকে, কখনো বা পায়চারি করে।
স্নিগ্ধ সকালে রোদ্দুর খেলা করে
সে বসে থাকে পথ পানে চেয়ে,
বহু কাঙ্খিত লোকটির প্রশান্ত নয়নে
রঙিন পৃথিবীটা দেখবে বলে।
এক দুঃসহ যন্ত্রণা বুকে চাপা দিয়ে
প্রিয়ের আশায় স্বপ্নের ডালা সাজিয়ে
এক আকাশ কল্পনা নিয়ে
লোকচক্ষুর অন্তরালে
চেয়ে থাকে তরুণী দিগন্ত পানে ।
বেলা গড়িয়ে রাত্রি নামে
আশায় বসতি করে
বালিকা হারিয়ে যায় গভীর ঘুমে
স্বপ্নের বাসর সাজাবে বলে!
ঐ দূর দিগন্তে
হঠাৎ মেঘের ডাকে
ঘুম ভেঙে গেলে
নীরবে বালিকা চোখের জল মোছে।
অপ্রাপ্তির কালো ছায়া
মনের দরজায় কড়া নাড়ে ।
দুহাতে তাকে খেদিয়ে দেয়ার
আপ্রাণ চেষ্টায়
পাখির মত জানা ঝাপটায় ,
শেষে ক্লান্ত শরীরে , ভগ্ন হৃদয়ে
আবার এসে দাঁড়ায়
চেনা বারান্দায় ।
তার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না !
প্রেমিক তারা আজও আসে না !
আজও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে,
গ্রিলের ফাঁক দিয়ে আকাশ পানে ।
কষ্ট গুলোকে নিঃশ্বাসের সাথে ছেড়ে,
বসে থাকে, দাঁড়িয়ে থাকে,
পায়চারি করে।
হঠাৎ হারিয়ে যায় কল্পনায় ।
প্রেমিকের বুকে মাথা রেখে
জ্যোস্না দেখায় বিভোর হয় ।
কখনো আবার প্রেমিকের হাতে হাত রেখে,
অবারিত শ্যামলীমায় হারিয়ে যায় !
যেখানে রং বেরঙের প্রজাপতি ওড়ে,
যেখানে ওরা দুজন ছাড়া কেউ থাকেনা,
যেখানে পাখির কলতানে মুখরিত থাকে,
অপার শান্তি বিরাজ করে !
ওরা সেখানে মিলিত হয় ।
জেগে উঠে দেখে
ফের সেই শূন্যতা!
ধূসর মরুর মরীচিকা!
তার ভালোবাসা আজ মরুভূমি!
চোখে মরুর রুক্ষতা,
আর হৃদয়ে অসীম অপেক্ষা!