উম্মে কুলসুম মুন্নি
বাইরে প্রচন্ড বেগে ঝড় বইছে,ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেছে, মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ এর ঝলকানি জানালা গলে ভিতরে আসছে ।বাতাসের শো শো শব্দ শোনা যাচ্ছে । আরো অনেকের সাথে মৌ ও লাইব্রেরিতে আটকা পড়েছে। সে সমাজকল্যাণ ডিপার্টমেন্টে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে । নোট রেডি করার জন্য বান্ধবীরা সহ লাইব্রেরিতে এসেছিল । ব্যস্ততার ফাঁকে কখন বিকেল হয়েছে, ঝড় শুরু হয়েছে টেরই পায় নি ।
মায়ের ফোনের আওয়াজ পেয়ে হুশ এল,কিরে ঝড়ের মধ্যে কোথায় তুই, এত দেরি কেন ?
ওহহহ মা,লাইব্রেরিতে নোট রেডি করতে এসে ঝড়ের মধ্যে আটকা পরে গেছি । তুমি চিন্তা করো না,রিতা আছে সাথে ঝড় একটু কমলেই বের হব ।
আচ্ছা সাবধানে থাকিস, বলে মনিরা ফোন রেখে রান্না ঘরে গেল,নারিকেল দিয়ে মুরগি রান্না করছে,মেয়েটা অনেক পছন্দ করে তার হাতের এই খাবার টা।
ঝড় থেমেছে, যদিও টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছে ।
লাইব্রেরিতে আটকে পড়া সবাই ধীরে ধীরে বের হচ্ছে । ইলেক্ট্রিসিটি নাই তাই সাবধানে বের হতে হচ্ছে ।
মৌ আর রিতা ও বের হয়ে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছে । কিন্তু ঝড়ের জন্য রাস্তায় যানবাহন কম,এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল,লোকজন কমে গেছে, কিভাবে বাসায় যাবে বুঝতে পারছে না,এরমধ্যেই মা আর ও দুই বার ফোন দিয়েছে ।
হঠাৎ একটা নীল গাড়ি সামনে এসে দাড়ালো,জানালার গ্লাস নামিয়ে একজন বলল,আপনারা কোথায় যাবেন,চলেন নামিয়ে দেই ।
মৌ ও রিতা দুজনেই অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে ।
এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন ?
আমি রাশেদ,ইকোনমিক্স ফাইনাল ইয়ার, আপনারা আমাকে দেখেননি,কিন্তু আমি প্রায়ই আপনাদের লাইব্রেরিতে দেখি । সম্ভবত আপনারা উত্তরা ৭ নাম্বার সেক্টরে থাকেন। ভাববেন না যে আমি আপনাদের অনুসরণ করি । আসলে কয়েকদিন আগে আপনাদেরকে ৭ নাম্বার রোডের মাথায় রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি, তাই বললাম । আমি ১১ তে থাকি ।
আসুন নামিয়ে দিব,এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে আজকে আর বাসায় যেতে পারবেন না ।
কি হল আসুন, মৌ,রিতা দু’জন দু’জনের দিকে তাকাচ্ছে,যাবে কিনা বুঝতে পারছে না ।
এত কি ভাবছেন, আসুন তো, বলে গাড়ির পিছনের দরজা খুলে দিল ।
মৌ আর রিতা অনেকটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে পড়ল । গাড়ি ছুটে চলল। সবাই চুপচাপ বসে আছে ।
নীরবতা ভেঙে রাশেদ বলল আপনারা তো মনে হয় থিয়েটার ও করেন, তাই না ?
আপনি কিভাবে জানেন, আপনাকে তো কখনো গ্রুপ এ দেখি নি, বলল মৌ।
না,আমার বন্ধু আছে আপনাদের গ্রুপে,ওর সাথে মাঝে মাঝে রিহার্সাল দেখতে যাই,তখন আপনাদের দেখেছি ।
ওহহহ,,আচ্ছা,,
আবার নীরবতা,,
কিছুক্ষনের মধ্যে গাড়ি উত্তরা ৭ নাম্বার সেক্টরে পৌছল তখন মৌ বলল, আমাদের এখানে নামিয়ে দিলেই হবে। রাশেদ বলল অসুবিধা নেই, বাসা এলে বলবেন সেখানে নামিয়ে দিচ্ছি। এরপর মৌ এর বাসার সামনে ওদের নামিয়ে দিয়ে আবার দেখা হবে বলে রাশেদ চলে গেল ।
মৌ আর রিতা পাশাপাশি বাড়ীতে থাকে । রিতা বিদায় নিয়ে ওর বাসায় চলে গেল ।
এরপর মৌ বাসায় ঢুকতেই মা বলল,কিরে কার গাড়িতে এলি তোরা ?
মৌ,সবকিছু খুলে বলল,,
অচেনা কারও গাড়িতে এভাবে উঠা ঠিক হয় নি,,
মা,,,উনি আমাদের ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, তাছাড়া আমরা তো ইচ্ছা করে উঠিনি।
হুমমম,যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়,আমি খাবার রেডি করছি।
এরপর মা মেয়ে একসাথে খেতে বসল,
মৌ বলল,তুমি আমার জন্য অনেক টেনশন কর,তাই না মা?
তুই ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কে আছে বল ? তোকে নিয়ে টেনশন করব না তো কাকে নিয়ে করব ?
এই জন্য ই তো তুমি আমার মা,,,
হয়েছে তাড়াতাড়ি খা,ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ।
মা মেয়ে খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষন গল্প করে যার যার ঘরে ঘুমাতে গেল ।
মৌ শুয়ে শুয়ে রাশেদের কথা গুলো মনে করতে লাগলো, তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়ল,টেরই পায়নি।
কিরে ইউনিভার্সিটি যাবি না,আর কত ঘুমাবি ?
মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙল,,,
আগে ডাকবে না,দেরি হয়ে গেছে,,
আচ্ছা, ডাকতে ডাকতে আমার গলা শুকিয়ে গেছে আর উনি বলছেন আগে ডাকলে না, যা ফ্রেশ হয়ে আয়,নাস্তা দিচ্ছি ।
নাস্তা খেয়ে বের হয়ে দেখে রিতা দাড়িয়ে আছে, এত দেরি করলি কেন ?
পরে বলব, চল তাড়াতাড়ি বলে রিতার হাত ধরে হাটতে শুরু করল।
মামা কই যাবেন ? বলে একটা সিএনজি এসে দাড়ালো, বনানী ১১ যাবেন,হ্যা চলেন , দুইজনে উঠে পড়ল, তাড়াতাড়ি চলেন মামা ।
সিএনজি ভার্সিটির সামনে থামতেই ভাড়া মিটিয়ে কোন রকমে ক্লাসে গিয়ে ঢুকল ।
ক্লাস শেষ হলে আর ও সব বান্ধবীরা সহ মৌ বারান্দায় দাঁড়িয়ে গল্প করছে, হঠাৎ খেয়াল করল বারান্দার অন্য পাশ থেকে কেউ একজন তার দিকে তাকিয়ে আছে, রাশেদ ?
দু’জনের চোখে চোখ পড়তেই রাশেদ অন্য দিকে চোখ ফিরিয়ে নিল । মৌ রিতা কে বলল চল ক্যান্টিনে যাই,বলে সেখান থেকে সরে গেল।
এরই মাঝে কয়েকদিন কেটে গেছে।
একদিন মৌ লাইব্রেরিতে একা বসে মনোযোগ দিয়ে একটা বই পড়ছে, রিতা কি কাজে অফিস রুমে গিয়েছে।
বসতে পারি ?
তাকিয়ে দেখে রাশেদ দাড়িয়ে আছে, উত্তরের অপেক্ষা না করে সে পাশের চেয়ারে বসে পড়ল।
তারপর একটু একটু করে দু’জনে অনেক কথা বলতে শুরু করল ।
আর এভাবে প্রায়ই কাকতালীয় ভাবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তাদের দেখা, একটু কথা ও হচ্ছিল কখন সখন। তারপর কখন যে তারা দু’জনের বন্ধু হল,একসময় সেই সম্পর্কটা বন্ধুত্বকে ছাড়িয়ে আর ও বেশি কিছু হল তারা জানতে ও পারে নি ।
ফাইনাল পরীক্ষা চলে এল,
সবাই অনেক ব্যস্ত পরীক্ষা নিয়ে ,এর মাঝেই রাশেদ তার বাবা মাকে মৌ এর কথা জানালো,ছবি দেখালো।
ঠিক আছে পরীক্ষা শেষ করে তুমি বাবার ব্যবসায় জয়েন কর,তারপর না হয় বিয়ের কথা ভাবো। মা গম্ভীর ভাবে বললেন। বাবা ও মাথা নেড়ে মাকে সায় দিলেন।
রাশেদের বাবা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী,মা ও মাঝে মাঝে অফিসে বসেন। রাশেদ তাদের একমাত্র সন্তান । সন্তানের খুশির জন্য তারা সব করতে পারেন।
রাশেদ ও একথা জানে।তাই আর কিছু না বলে বের হয়ে গেল।
প্রায় এক মাস পরীক্ষা চলল। মৌ আর রাশেদের খুব বেশি দেখা হয়নি এর মাঝে, তবে প্রতিদিনই কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছে।
পরীক্ষা শেষ হল,রাশেদ বাবার অফিসে জয়েন করল।ছুটির দিনে মৌ এর সাথে দেখা করা,লং ড্রাইভ এ যাওয়া,একসাথে খাওয়া এভাবে কয়েকটি দিন কেটে গেল ।
একদিন নাস্তার টেবিলে বসে বাবা মা বলল তারা মৌ কে দেখতে যেতে চান,মৌ এর বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে চান।
রাশেদ মহা খুশি হল, সাথে আর ও জানালো মৌ এর বাবা নেই, মা আছেন।
ঠিক আছে ওনার সাথে আমরা কথা বলব,তুমি মৌ কে জানাও। আজ বিকালে আমরা যেতে চাই, বাবা বলল।
ঠিক আছে বাবা,
বলে সাথে সাথে সে মৌ কে জানালো,তারা আজ মৌ কে দেখতে আসবে।
মৌ তার মাকে জানালো, তিনি শুনেই আপ্যায়নের আয়োজন করতে লেগে গেলেন। রিতা ও আসলো মৌ এর বাসায়,দুই বান্ধবীর যেন খুশি আর ধরে না।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হল।
রাশেদ আর তার বাবা মা এল । মৌ এর মা দরজা খুলে কিছু টা অবাক হল।আর তাকে দেখে রাশেদের এর বাবা হতভম্ব। তাহলে মৌ মনিরার মেয়ে, মনে মনে ভাবলো, কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে দিল না,রাশেদের মায়ের মৌ কে অনেক পছন্দ হলো,সে মৌ এর গলায় চেইন পরিয়ে দিল। সবাই অনেক খুশি। কিন্তু রাশেদ এর বাবা মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, মনিরা কাকে বিয়ে করেছিল ? সে কোথায় এখন ?
কই চলো তোমার যেতে মন চাইছে না বুঝি, কত কাজ বাকী।
ওহহ হ্যা চলো,সে ও মৌ কে আশীর্বাদ করে বেরিয়ে গাড়িতে উঠল,রাশেদ গাড়ি চালাচ্ছে।
সাহেদ সাহেবের মনে পড়ে গেল কলেজের সেই দিন গুলির কথা। সে মাষ্টার্স দ্বিতীয় বর্ষে আর মনিরা প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মনিরা ভালো গান গাইতো, কলেজের সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতো। সে মনে মনে মনিরা কে অনেক পছন্দ করতো। কিন্তু বলার সাহস পেত না। যদি ও একই এলাকায় বাসা, তবে মাঝে মাঝে কথা হত। মনিরা তাকে সন্মান করতো।
মনিরার বাবা ছিলেন কলেজের প্রিন্সিপাল আর সাহেদ তখন একটা মেসে থাকতো।
তবে মনিরা ও হয়তো একটু একটু বুঝতো সাহেদ তাকে পছন্দ করে কিন্তু সে তেমন গুরুত্ব দিত না।
এমনই সময় হঠাৎ একদিন সাহেদ তাড়াহুড়ো করে বাড়ি চলে গেল। প্রায় মাসখানেক পর ফিরে এল, সাথে নতুন বউ।
বাবার অসুস্থতার কথা শুনে সে বাড়ি গিয়েছিল আর মৃত্যুশয্যায় বাবা তার শিল্পপতি বন্ধুর একমাত্র মেয়েকে পুত্রবধূ হিসাবে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মৃত্যুপথযাত্রী বাবার কথা রাখতে মিতা কে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন। তবে মিতাও বেশ ভালো মেয়ে।
একমাস পর ফিরে এসে শুনলেন মনিরার বাবা হার্ট অ্যাটাক এ মারা গেছেন আর মনিরা ওর মা সহ ঢাকায় ওর ভাই এর বাসায় চলে গেছে। মনিরা কে তার ভালো লাগার কথাটা আর কখনো বলা হয় নি। এভাবে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর।
আজ এত বছর পর মনিরা কে দেখে বুকের ভেতর কেমন যেন করে উঠল।
জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছেন অপলক। আর মনের কিনারে জমানো কষ্টটা হঠাৎ নতুন করে জেগে উঠল আবার। মনিরার তো কোন দোষ ছিল না। সেই তো বাবার শেষ ইচ্ছে পূরন করতে দূরে সরে গিয়েছেল।
কি হল নামবে না ? মিতার ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেল সাহেদ সাহেব। তারপর গাড়ি থেকে নেমে ধীর পায়ে বাড়িতে ঢুকল।
রাতটা কোন ভাবে পার করে সকালে অফিস যাওয়ার পথে সাহেদ সাহেব মৌ এর বাসায় গেল। মনিরা দরজা খুলল।
আপনি ?
কেমন আছো তুমি? মৌ এর বাবা কিভাবে মারা গেছেন ? তোমরা এখানে কতদিন থেকে আছো ?
এত কাছে থেকে ও কখনো দেখা হয়নি।
সাহেদ ভাই, মৌ আমার ভাই এর মেয়ে,ভাই ভাবী ছয় মাসের মৌ কে রেখে একটা এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
সেই থেকে মৌ আমার মেয়ে, ওকে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটাতে চাই।
তার মানে, তুমি বিয়ে করনি ? এভাবে একা থেকে গেলে কেন মনিরা?
না বিয়ে করা হয়নি,তাছাড়া একা কোথায়, মৌ এতটা জীবন আমাকে পূর্ণতা দিয়েছে। ভাইয়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তি আর মৌ ই আমার সব এখন।
আচ্ছা মনিরা, আসি তাহলে ভালো থেকো
একটু বসুন চা আনছি।
ঠিক আছে, অন্য একদিন,এখন তো তোমার হাতের রান্না প্রায়ই খাওয়া হবে…হা হা হা।
সাহেদ ভাই আমি অনেক খুশি,মৌ আপনার আর মিতা ভাবীর মতো মানুষের ঘরে বউ হয়ে যাচ্ছে।
তুমি ভেব না মনিরা,মৌ বউ নয় আমাদের মেয়ে হয়ে আমার বাড়িতে যাবে।
তারপর সাহেদ চলে গেল,মনিরা সেই পথের দিকে চেয়ে রইল। এত বছর পর সাহেদ কে দেখে তার মনে পড়ে গেল হারিয়ে যাওয়া সেই দিনের কথা।
মনিরা জানত সাহেদ তাকে পছন্দ করে,প্রায়ই মনিরাকে দেখার আশায় নোট দেখানোর ছলে বাবার কাছে আসতো। মনিরার ও ভালো লাগতো তাকে দেখে। বাবাও খুব প্রিয় পাত্র ছিল সে। কিন্তু বাবার ভয়ে কখনো মনিরা কে বলার সাহস পায়নি। মনিরা ও না বুঝার ভান করে থাকতো। এভাবে হঠাৎ একদিন এক ঝড় এসে সব কিছু এলোমেলো করে দিয়ে গেলো। সাহেদের না বলা কথা আর কখনো শোনা হয়নি। দুরু দুরু বুকে জেগে উঠা সেই ভালো লাগা অঙ্কুরেই ঝরে গেল।
অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আজ মৌ এর বিয়ে তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে। মেয়েটাকে বউয়ের সাজে খুব সুন্দর লাগছে। মনিরা অনেক খুশি কিন্তু আড়ালে চোখের পানি ফেলছে মৌ চলে যাবে ভেবে,আবার সে একা,খুব একা হয়ে যাবে।
কিছুক্ষন পর বরযাত্রী এল। মৌ আর রাশেদের বন্ধুরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠলো।
বিবাহের শুভ কাজ সম্পন্ন হলো। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মৌ কে নিয়ে বরযাত্রী ফিরে গেল।
মনিরা মেয়ের নতুন যাত্রাপথের দিকে নির্বাক তাকিয়ে, দু’চোখ থেকে ঝড়ছে আনন্দঅশ্রু তার অজান্তে।
নিয়তির কি অপার খেলা, জীবনের যেই স্বপ্ন একদিন হারিয়ে গেছে সে স্বপ্ন আজ সামনে দাড়িয়ে অন্য নামে,অন্য পরিচয়ে।