বিমান বিশ্বাস
ফের কবে কখন?
দেখা করবে জানিও,
তোমায় পেয়ে!
উন্মাদ, অচৈতন্যর জলে যেদিন ভেসেছিলেম,
ভেসেছিলেম তীব্রতর যন্ত্রণা আর বিকৃত উল্লাসে…
মেতেছিলেম ভালোবেসে তোমায়,
দেহ সৌষ্ঠব ধ্বংসের খেলায়!
আমি সেদিন দেখেছিলেম,
তোমার চেয়ে তোমার অহংকারটাই ছিল মস্ত বড়ো প্রেমিক!
ভেঙে খান খান করেছিলেম তোমার সকল অহংকার!
তোমার পানে চেয়ে আমি না
মিটিমিটি হেসেছিলেম…
তোমার ভিজে শরীর পানে চেয়ে,
ঠিক যেন;
নাছোড়বান্দা বৃষ্টি আর রোদ্দুরে ভেজা পাখিদের মতন–
সেই শুভক্ষণে!
তুমি আমি দুজনেই
আকাশের সাথে নেচেছিলেম
ঘনীভূত তৃপ্তির স্বাদ আর
দুঃসহ নিষ্ঠুর উষ্ণতা গায়ে মেখে…
আমি জানি;
বর্নাঢ্য তৃপ্তির বেদনা আর আনন্দ অশ্রুধারার তীব্র লবনাক্ত স্বাদে,
কেঁপেছিলে তুমি ভীষণ লজ্জায়!
লালসার দংশন আর মানসিক সংঘাত,
চেয়ে চেয়ে দেখেছিল তোমায়,
বিভীষিকাময় চাপা হাসির কল্লোল,
বেজেছিল তোমার আমার দেহে,
বন্যা সৃষ্টির প্রথম সুর…
আমি না;
শুকোতে দিয়েছিলেম
রোদ্দুর ভালোবেসে
আমার ভালোবাসাকে!
তোমার তপ্ত গাল আর ওষ্ঠের উদ্দাম ছোঁয়াকে আপন ভেবে…
হঠাৎ বন্যা এলো হৃদয় মাঝে;
রোদের সোনালী সুতোয় বাঁধা পড়ে
তুমি চলে গেলে আমায় ফেলে
ঝরোঝর শ্রাবণকে আপন করে!
শোকের উচ্ছ্বাস, মুমূর্ষু রোগীর শয্যার মতো পড়ে রইলাম আমি,আর
আমার ভালোবাসা,
তোমার অপেক্ষায়…