শেখ হোসনা
যত ভয় আতংকে ছিলো ঐ বদমাশটা। পরীক্ষা দিবে না। অনেক কষ্টে বাবা মাকে রাজি করিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়া! আজ ব্যাপারটা খোলসা হলো।
তাই ওর ছোটো ভাই কয়েক দিন ওকে কলেজে নিয়ে যাওয়া আসা করল। লোকটি অবশ্য সাথে ভাই বুঝতে পেরে বিরক্ত বিরতি দিয়েছিলো।কিন্তু নাহ কুকুরের লেজ আর বদমাশ এ দুটো কখনই সোজা হবার নয়। আতঙ্কে স্বপ্ন বিসর্জন দিবে।
তবুও লোকটির প্রতি মানবতা দেখাচ্ছে। কিন্তু লোকটি আবার শুরু করল। যখন দেখল ভাইটি সাথে নেই। সে এবার অন্য এক আতঙ্ক সৃষ্টি করল।শুভ্রা ঐ ভবন সোজা হতেই সে রিক্সা নিয়ে সোজা চলে যায় কলেজ বরবর। যেহেতু রিক্সা আাগেই চলে যায়।

শুভ্রা হেটে তাই সে রিক্সা ছেড়ে শুভ্রার সামনা সামনি ওকে দেখতে দেখতে আসে।আজব লাগছিলো শুভ্রার এসব। ওর সমস্ত চঞ্চলতা হারিয়ে যায়। সারাক্ষন অবর্ননীয় বিষন্নতা, ভয়, আতঙ্ক ওকে ঘিরে রাখে।
আজ কলেজে থেকে ফিরার সময় আকাশ একদম পরিস্কার কিন্তু হঠাৎ ও বেরুতেই শুরু হলো গুরি গুরি বৃষ্টি।আতঙ্কে রিক্সাও নিচ্ছে না ভয় যদি রিক্সা থামিয়ে কথা বলে।
তাই জোর কদম হাটছে। হাটার ফাকে একবার মাথা তুলল কারন আজ লোকটির কোনো সাড়াশব্দ নেই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই কানে শব্দ এলো “ছাতা নিয়ে আয় “
ছাতা নিয়ে আয় শুনতেই -শুভ্রার সমস্ত গা ঘেমে ঝর ঝর করে ঝরছে।স্পন্দন ট্রেনের গতিতে চলছে।ততক্ষনে বৃষ্টি ও থেমে গেছে সে খেয়ালও নেই ওর।
কিভাবে যে এক অস্থিরতায় বাড়িতে ঢুকল সে দিকেও খেয়াল নেই। ঢুকে সোজা নিজের রুমে যেয়ে একস একাই কিছুটা রাগ প্রকাশে” আমি কিছুতেই পরীক্ষা দিবো না। বলছি এবার রেজাল্ট ভালো আসবে না।নাহ কেউ শুনছে না।”
থামতেই ছোটো ভাই রুমে যেয়ে “” কে কি শুনছে না? কিরে বাহিরেতো বৃষ্টি নেই, ভিজা কেনো? ওহে ঐ লোকটি —
“চুপ এখান থেকে যা।আমার ভালো লাগছে না।তোদের বুঝাতে পারছিনা।কেউ বুঝতেই চাচ্ছে না”
শুভ্রার অস্থিরতা দেখে ভাই মাথায় হাত দিয় “” যা খাবার খেয়ে একটা ঘুম দে, দেখবি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট আসবে।
————০———-
আর পারছিলো না তাই খাবার খেতে খেতে মাকে সব বলল।মা উপায় বের করল। ঐ এলাকায় শুভ্রার এক দুর সম্পর্কের চাচা থাকে। তাকে ব্যাপারটা জানাবে।
কথা অনুযায়ী কাজ মা আার বড়ো ভাই গেলো সেই চাচার বাসায়। পথে মা ছেলেকে যথেষ্ট বুঝিয়ে শান্ত করে নিলো স। সে যেনো ওখানে যেয়ে উল্ট পাল্ট কিছু না করে।শুভ্রাও তাই চায় কারন ও যথেষ্ট মানবিক মনের।
চাচা কল নি লোকটির খোঁজ করতেই জানা গেলো।সে আধ ঘন্টা আগে চাকুরী ছেড়ে্ বাড়ীর পথে রওয়ানা দিয়েছে। হঠাৎ চাকুরী ছাড়া বাড়ী চলে যাওয়া ব্যাপারটা খুলে জানতে চাইলে ঐ যে ডাকাডাকির সহযোগি ভয়ে ভয়ে এসে বলল””আফার ভাইতো আইসা যে–মার বুঝতে বাকী রইল।
-সমাপ্ত-