বিমান বিশ্বাস
(বালিগঞ্জ স্টেশন,ভারত)
আমি যাযাবর;
পাখিদের মতো নীড় খুঁজি,
বিস্মৃত স্বপ্নের ইশারায়!
মৌরসিপাট্টা বিছিয়েছি সারা গায়ে,
শরীরে বইছে যন্ত্রণা,
তারই রুদ্র সঙ্গীত ভেসে আসে
ভেসে আসে শীতের কুয়াশামাখা সকালকে উপেক্ষা করে…
শীতে জবুথবু ভাবনা গুলো
বসে বসে ভাবে কোলাহল আর ব্যস্ত ফুরফুরে রেল স্টেশনে রুদ্ধ হয়ে!
ভাবনারা গ্ৰীষ্মের দীর্ঘদগ্ধ যাত্রা শেষে হয়তো পায় রসিক হওয়ার ঘ্রাণ।
চোখে পড়ে বাঁকা হাসির চাউনিও,
ভাবনার যে বড়ো ক্ষিদের যন্ত্রণা,
প্রাতরাশ হইনি যে তার,
এক সময় তার রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন ছিল,
ফাগুন হাওয়ায় ভেসে,
বাঁকা হাসির চড়ুই পাখিকে
পত্র পাঠাতে চেয়েও ছিল সে..
চেয়েছিল পৌষ পার্বণে তাকে আমন্ত্রণ জানাতে,
এই ভাবনার ভালোলাগা সব সময় মেলে না,
মেলে না পরিযায়ী পাখিদের মতো জীবনের মহতী ব্যঞ্জনার আস্বাদ।
নিখাদ ক্লান্ত আজ সে
অনিবার্য ভাবে খসে পড়ে আশঙ্কার বনস্পতি ছায়া।
তবুও;
ভাবনা,শীত আর ঘন কুয়াশায় মোড়া প্রেম…
কাকভোরে সাঁতার কাটে
সাঁতার কাটে বসন্তের আশায়…