অরবিন্দ সরকার
(বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ।)
নিরিবিলি নির্জনে, জীবনের বাঁকে বাঁকে,
শব্দের নৌকা চলে আঁকে বাঁকে।
কৃত্তিবাসের,কাশীরামের ঘাট পেরিয়ে, ঈশ্বর গুপ্ত,প্রভাকরের স্রোতে।
ভোরের কোকিলের ডাকে,রবি জেগে ওঠে,
লাল রশ্মির সাতরঙ্ ছড়িয়ে পড়ে আঁধারের আনাচে কানাচে।
জেগে ওঠে,নড়ে ওঠে বাংলা,
ডাক পাঠায় বিশ্বে।
ঝড় বয় বিরুদ্ধভাবের, নজরুলের হুঙ্কার, সুধীন্দ্রনাথ দত্তের গূঢ় শব্দ, শব্দ ভান্ডারের লুকানো রত্ন; বুদ্ধদেবের নগ্নতা, জীবনানন্দের মায়াময় কুয়াশাচ্ছন্ন শব্দের আড়ালে নূতন নূতন বাঁক নিয়ে ফিরে আসে তরী।
আমরা উঠেছি সেখানে, আরো বেশি নূতন , আরো বেশি আধুনিক হ’য়ে- খোলাখুলি নগ্নতাকে চেপে ধরে টলায়মান নৌকার হাল ধরে এগিয়েছি।
কল্পনা নাই,কবিত্ব নাই, আছে তথাকথিত “জীবনমুখী” জীবনের গান।
নির্ঝরের অবিরাম ঝরঝর শব্দ,থমকে দাঁড়িয়ে দেখা,কবিমনে গুনগুনিয়ে ওঠে কাব্য। নিরিবিলি তুমি আলতো চকিত চোখে এঁকে গেছো,সেসব বিচিত্র রেখায়- সহসা যা পাইনা!
–তাই তুমি ধন্য!