মোহাম্মদ হাসানঃ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া কানাডার প্রখ্যাত প্লেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ ৭৪ আসন বিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ প্লেনটি ‘ধ্রুবতারা’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ নিয়ে বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হলো ১৯টি।
আজ ২৭ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১ ঘটিকায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন।গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যে বিমানটি আমরা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, সেটি যেমন আমাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বাড়াবে, পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একটি যোগাযোগ স্থাপন আমরা করতে পারব। কারণ আমরা এই উপমহাদেশে বাস করি, আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান এত চমৎকার…, আমরা যদি শুধু আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে একটি ভালো যোগাযোগব্যবস্থা চালু করতে পারি, তা হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবদিক থেকে অনেক উন্নতি হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বিমানের নতুন উড়োজাহাজগুলোর নামকরণ বাংলাদেশের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা পালকী, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খী, আকাশ বীণা, হংস বলাকা, গাঙচিল, রাজহংস, অচিন পাখি, সোনার তরী নাম দিয়েছি। আর আজকে যেটি করতে যাচ্ছি, ওর নাম ধ্রুবতারা।
ধ্রুবতারা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা যে বাংলাদেশ শুধু দেশের অভ্যন্তরে না আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও যোগাযোগটা আমরা কিভাবে বাড়াতে পারি। কীভাবে উন্নত করতে পারি দেশকে। আমরা সারাবিশ্বে যোগাযোগ করবো। কারণ যেকোনো উন্নয়নের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য প্রচারের জন্য এটা একান্তভাবে দরকার।
তিনি আরও বলেন, এই বিমানটা আমাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বাড়াবে, পাশাপাশি আমরা বিশেষ করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবো। এ উপমহাদেশে আমাদের ভৌগলিক অবস্থানটা এত চমৎকার একটা জায়গায়, আমরা যদি শুধু আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে একটা ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবদিক থেকে অনেক উন্নতি হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। ’
ধ্রুবতারা উড়োজাহাজটির নামকরণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধ্রুবতারা আমাদের দিক নির্দেশনা দেয়। আর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আর সেই সঙ্গে ২০২০ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আর ২০২১ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কাজেই তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধ্রুবতারা নামটি আমি পছন্দ করে দিয়েছি। আমাকে সহযোগিতা করেছে আমার ছোট বোন রেহানা। ’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে যে তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ প্লেন কেনা হয়েছে, তার মধ্যে ধ্রুবতারাই প্রথম বহরে যুক্ত হলো।