আজম পাটোয়ারী
দেশ সমাজ আর সভ্যতার জন্য কিছু কাজ সব সময় লজ্জাজনক এবং ঘৃন্য তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধর্ষন।
এখন আমরা এর আলোচনা করতে গেলে দেখতে পাই এই ঘৃন্য কাজের জন্য যে সব সহায়ক হিসাবে কাজ করে তার মধ্যে প্রথম পাওয়া যায়, পারিবারিক মূল্যবোধ ও শিক্ষা।
তাহলে কি আমরা বলব যে পরিবার ধর্ষনে উৎসাহিত করে, না কথাটা তেমন নয় কিন্তু যখন কোন সন্তান এই অপরাধ করে তখন পিতা মাতার প্রথম কাজটি ছিল সন্তান কে কঠিন শাস্তি দেয়া পারিবারিক ভাবে যতটুকু সম্ভব, কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র।
একজন সন্তান এমন ঘৃন্য কাজে জড়িত আর বাবা মা জোড় গলায় বলে না আমার সন্তান এই কাজ করেনি অথচ এই বাবা মায়ের আবার ভিন্ন রুপ দেখা যায় যখন একটি মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে তাদের বেলায়।মানুষের গতানুগতিক স্বভাব হচ্ছে অপরাধ করবে আর পরিবারের দায়িত্ব হচ্ছে তার সঠিক সমাধান দেয়া তাকে ভাল শিক্ষার মাধ্যমে।
পরিবারের দায়িত্বে মাঝে আরেকটি কাজ হল সন্তান কার সাথে মিশছে কোথায় যাচ্ছে কি করছে।
কিন্তু আজকাল সমাজচিত্র ঠিক বিপরিত, এমন পরিবার আছে যারা তো ভাবে আমার সন্তান কিছু খারাপ করবে না, এটাই তাদের অসর্তক বিশ্বাস।
আর যখন কোন খারাপ কাজে জড়িয়ে পরে তখন তো বলে বেড়ায় “”ফাসানো হয়েছে”” কিন্তু আসল ঘটনা কিন্তু তেমন নয় আসলে ঐ পিতা মাতা নিজের অযোগ্যতাকে ঢাকা দেয়ার জন্যই এই গল্প সাজায়।
এবং পরবর্তি চিত্র দেখলেই বুজা যায় যে ঐ সন্তান এক সময় বাবা মা পরিবার সমাজ দেশ ও সভ্যতার জন্য অভিষাপ হিসাবে আর্বিভাব হয়।
যার প্রধান দায়ি হয়ে যায় সন্তানটি কিন্তু আসলে দায়ি হচ্ছে পিতা মাতা পরিবার, যাদের উদাসীন খেয়ালীপনায় সন্তানটি অপরাধে জড়িয়ে গেছে।
তাহলে দেখা যায় একজন মানুষ খারাপ হওয়ার জন্য প্রধানত কারন হিসাবে পরিবারই দায়ি কোন দায় এড়ানো অজুহাত ছাড়া।
সর্বপরি একটা কথা বলা যেতে পারে অপরাধ সামান্য হোক বা অসামান্য তার বিস্তার রোধে পরিবারকে সবার আগে হস্তক্ষেপ করা উচিত এবং সন্তান কে মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া উচিত।
সব শেষে আমরা বলতে পারি যে শিশু শিক্ষার বুনিয়াদ হচ্ছে সুশিক্ষিত মায়ের শিক্ষা।