আজম পাটোয়ারী
মডেল-আরিফুলইসলাম
ম্লান কর্কষ হেসে তিনি বলে চিনি পেয়ে গেছি বাবা।
আমি কথা বাড়াতে চাইনি বলে কোন কথা বলিনি। চা বানানো শেষ দু’কাপ বানিয়েছে নিজেও খাবে আর আমার সাথে গল্প করবে।
চাচা যখন চায়ের কাপ আমার হাতে তুলে দিতে আসলো তখনই দেখে ফেললাম যা দেখার তার হাতের নিচের দিকে চামড়া ফাড়া দাগ এবং সেটি সতেজ দাগ রক্ত লাল টগবগ করছে!এবারে আমি চিৎকার মারতে যাব অমনি তিনি বলে উঠলেন বাবা কোন প্রশ্ন আমাকে করবে না।
জানি হয়ত তুমি কিছু ভয় করেছো!! এখন গভীর রাত এখানে শুধু দেখবে উত্তর পাবে না!
বিষাদের সুরে তাকে কথা বলতে দেখে মনে হচ্ছে আমি অন্য জগতে আছি। একবার ভাবছি জীবনের সবচেয়ে লম্বা দৌড়টা দেই। কিন্তু না আমার জানা আছে রাত এখন দু’টোর কাছাকাছি।
তা ছাড়া তারা আজ আর আমার পিছু ছাড়বে না যতক্ষন না, নিজে থেকে চলে যাবে আর রাস্তাতে আরো এমন জায়গা রয়েছে সে স্পট গুলোতে তারা অবাধে চলা ফেরা করে মানুষ রুপে মানুষ কে ধোকা দেয়,তখন তো চিনতেও পারব না।
ফজরের আযান পড়তে বাকি আরো অনেকটা সময়। আমি এখানেই বাকি সময়টা কাটানোর প্লান করেছি!
যে ভাবে হোক আমাকে ভয় কাটিয়ে এখানেই থাকতে হবে।
আরো কিছুক্ষণ পর আমার মনে হল বসার টুলে কেউ একজন এসে বসেছে আর তা স্পস্ট বোঝা যাচ্ছে। অশরির কেউ বসেছে আমার পাশে আর আমি তাকে দেখতে পাচ্ছিনা! আমি টুল থেকে উঠেতে যাব এই সময় দোকানদার বলল বসো বাবা ও কিছু না আমার রাতের বন্ধুরা এসেছে, আর আমার মনে হল পাশে বসা সে আমার হাত ধরে টান দিল বসার জন্য।
অত্যাগ আমি ধুপ করে বসে পড়লাম কাঠের টুলে।
আমি প্রশ্ন করতে যাব দোকানী বলে তোমাকে আগেই বলেছি আমাকে প্রশ্ন করবেনা!!
কিছুক্ষন পর চাচা এবারে তিনটি চা বানাতে লাগলেন আরেকটা কার জন্য তা তো জানি কিন্তু দেখি চা টা কিভাবে কি করে।
দেখলাম তিন নম্বর চা টুলে রেখে দিল কিন্তু চা এমনিতে শেষ হতে লাগলো। মনে হচ্ছে আমি যেন মাতাল ঘোরের মধ্যে এসব দেখছি। বুকের মধ্যে ভয় করতে করতে শর্ট করেছে।
তারপর চাচা বলে উঠে কি করেছিস তুই আদম জাতে সাথে প্রেম করতে চাস। তিনি যে কথাটা এটা আমাকে বলেননি তা বুজতে পারছি বেশ। যে অদৃশ্য জন আমার পাশে তাকে বলেছে, যদি আমার আন্দাজ ঠিক হয় তবে পাশের তৃতীয় জন পরী। কারন পরীটা মেয়ে কন্ঠে বিভৎস আওয়াজে হাসছে।
এবারে আমার শংকা হলো পরীর কবল থেকে বাচতে হবে। কারন এ রাতে তারা আমাকে ভুলিয়ে পথ হারা করে দিবে।তারপর তাদের পছন্দ মতো তাদের জায়গায় নিয়ে যাবে।
–চলবে–
আরোও পড়ুন