আজম পাটোয়ারী
মডেল-আরিফুলইসলাম
আমি কিছু বললাম না আর তাকে এমনিতে আছি এক বিপদে তার উপর বাড়তি প্যাচাল আর ভাল লাগবে না,অহেতু কথা বলারই বা দরকার কি, বসার জন্য একটু ভাল জায়গা তো পেয়েছি তার উপরে একটু চা।
বয়সে মুরুব্বি মানুষ কোন প্যাচাল পছন্দ করে না থাক আর গাটাই না তাকে।
মাথা নেড়ে সায় দিলাম আর অষ্ফুট কন্ঠে বললাম…
ঠিক আছে চাচা আপনি চা দেন আমি কোন প্রশ্ন করব না,আর কথাও বলব না আপনার সাথে ঠিক আছে।
মুরব্বি কেমন একটা খেকানো কর্কশ সুরে বলল…
মানুষের কথায় বিশ্বাস নেই মুখে কয় এক আর করে আরেক।
আমি সাথে সাথে বলে উঠলাম
না না সবাই এমন না আমি বলছি তো আপনাকে কোন প্রশ্ন করব না।
দোকানদার আপন মনে বলতে লাগলো গভীর রাতে আমার দোকান খোলা থাকে আর আমি শুধু রাতের ব্যবসায়ী!
বিষয়টা কেমন অদ্ভুতই মনে হতে লাগলো আমার কাছে, তারপর আবছা অন্ধকারে তার দিকে এবার ভাল করে চেয়ে দেখি চাচার মাথায় চাদরের ঘোমটা বিশাল মুখে দাড়ি আর চোখ দু’টো একটু বেশি বড় মনে হল যদি চোখ গুলো কেমন জানি ঘোলাটে মনে হল অন্ধকারে ঠিক বুজা গেল না।
পরনে মনে হল লুঙ্গী আর তার চেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো চাচার পা দেখা যাচ্ছে না!
না কি অন্ধকারের জন্য আমি দেখতে পাচ্ছিনা কিছুই বুজা গেল না আর সেটা ভাবার পর আমার বুকের মধ্য হালকা ধুক পুকানী শুরু হয়ে গেল বুজলাম না এমন করছে কেন বুকটা।
বিষয়টা বেশ ভাবাচ্ছে আমাকে আশ্চর্য পায়ের পাতা কোথায় চাচার! অবিশ্বাস মনে হল নিজেকে চোখের সামনে কেমন যেন ঠিক বুজলাম না হতে।
দোকানদার চাচা ভাঙ্গা অস্ফুট কন্ঠে বলে উঠলো বাবারে তোর বাড়ি কোন গ্রামে?
আমি কিছুটা কাচু মুচু করে সব বললাম। শুনে তিনি বলেন বাবা তুমি তো এখন আর রিক্সা ভ্যান অটো কিছুই পাবে না। তা ছাড়া এখন অনেক রাত তার উপর তুমি আবার বিপদে আছো!
এই কথা শুনে তো আমার বুকের কাপুনিটা আরো বেড়ে গেল,বলে কি এই চাচা!
তারপর তিনি বলে উঠে চিন্তা নেই চা দিচ্ছি খাও সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি তার কথা শুনে কেমন রহস্যের গন্ধ পেলাম।
মনে মনে ভাবছি এ আবার কোথায় এলাম সত্যি বিপদে পরে যাইনি তো,আর সাথে তো কোন টাকা পয়সাও নেই যে সমস্যা হবে,দেখা যাক কি হয়। তবে আমি আর বাকি সময় এখান থেকে নড়ছি না।
-চলবে-
আরো পড়ুন