বেলাল হোসেন
কখনো যদি মনে পড়ে
তুমি এসো ফিরে
বৃষ্টি ভেঁজা সবুজপ্রকৃতি সাঁজে এক অনন্য রূপে
মেঘের ভেলায় ভিড় জমিয়ে কাশবনের তীরে।
কখনো যদি ইচ্ছে করে
তুমি এসো ফিরে
চারপাশে থই থই করা জলে শাপলা কোমল করা জলকেলিতে
প্রকৃতির ডাকে আনন্দ উৎসবে।
কখনো যদি ভালো লাগে
তুমি এসো ফিরে
আপন শোভায় সাঁজিয়ে জল-জঙ্গল-পাহাড়
নাগরিক জীবন ব্যস্ত রেখে আপন উল্লাসে দোল দিয়ে।
কখনো যদি আসতে চাও
তুমি এসো ফিরে
দু’হাত ভর্তি কাচের চুড়ি,গলায় পুঁথির মালা,
কপোলে টিপ আর পায়ে আলতা দিয়ে;
একরঙা চিকন পাড়ের নীল শাড়ি পড়ে।
কখনো যদি শরৎ আসে
তুমি এসো ফিরে
পাখপাখালির সুরে ডিঙ্গি নৌকায় তাল রেখে
অবিরত হেসে-ভেঁসে
যান্ত্রিক জীবনে প্রাকৃতিক সুখের স্বাদ নিয়ে।
কখনো যদি বিকেল হয়
তুমি এসো ফিরে
শাপলার ঝিলে আপন মনে প্রকৃতি কন্যা হয়ে
ফুলের গয়নায় নিজেকে সাঁজিয়ে প্রকৃতির মন কেড়ে।
কখনো যদি মন পোড়ে
তুমি এসো ফিরে
দু’হাত ভর্তি কাচের চুড়ির রিনিক-ঝিনিক মাতাল সুর তুলে
ভালোবেসে হালকা কুয়াশা মোড়া সকাল-সাঁজে।
কখনো যদি ব্যথা জাগে
একবার এসো ফিরে
আকাশের সব নীল জমিয়ে শাড়ির জমিনে
ভালোবেসে বিলের শাপলা মুষ্ঠি খানেক তুলে।
কখনো যদি অভিমান হয়
তুমি এসো ফিরে
শরৎ শোভায় নিজেকে সাঁজিয়ে পদ্মার বুক ভেঁসে
অকৃত্রিম এক মায়ার টানে একটু ভালোবেসে।
কখনো যদি সময় হয়
একবার এসো ফিরে
হাজার রঙে রাঙিয়ে দিও নীল মহুয়ার বনে
প্রকৃতির সে সুখের কথা হাজার ভাবে বলে।
কখনো যদি মন কাঁদে
তুমি এসো ফিরে
লিখে দিও-“ভালো আছি”
পদ্মর পাতায় তার নরম বোঁটা দিয়ে।
যদি একান্তই মন কাঁদে
তবেই এসো ফিরে
দেখে যেও সমাজ-সংসার
আগের মত,সব তোমারই আছে!