জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে দায়ের করা মানহানি মামলায় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই মামলায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সঞ্জিব কুমার বসু জানান, নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাজান বিশ্বাসের করা এ মামলায় তারেককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা না দিলে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এ নিয়ে মোট চারটি মামলায় সাজার রায় হল খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।
অর্থ পাচারের একটি মামলায় সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তিনি।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার এক বছর বাদে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন তারেক, তারপর থেকে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে সেখানেই থাকছেন তিনি।
বিদেশে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি, মা খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব তিনিই পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে তারেক জিয়া ইংল্যান্ডের ইস্ট লন্ডনের এন্ট্রিয়াম ব্যাংকওয়েট হলে যুক্তরাজ্যে বিএনপির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহাজাহান বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।