তনয়া
কৈশোর পারিনি তখনো পেরুতে,
ষোড়শে দিয়েছি পা কেবল যে
যৌবন সে আরেকটু দূর।
তবুও এই বুকে বিঁধেছে এসে
নেত্র তীর তোর।
প্রথম যেদিন দেখলি তুই আমাকে কোনো এক বাহানাতে,
আমার নয়ন পরল তোর নয়নে।
ছিলাম বলে বাতায়নে!!
প্রকাশ ছিলো নয়নে তোর ভালো লাগার কিছু একটুর।
ব্যস,শুরু হলো বুকের ভিতর কেমন যেনো অন্যরকম
ধরপর ধরপর।
বলার সাধ্য হলো না।
গেলো কিছু সময় হয়ে দূর।
ষোড়শ এলো আমাতে পুরোটা তবুও হলো না সাহসটা।
ষোড়শের শেষটায় উন্মাদনা গেলো বেড়ে
তোকে দেখব চেয়ে চেয়ে।
খুজতাম বাহানা।
তোরও স্বায় ছিলো অনেকটা!
হতো না দেখা সহসা
কষ্ট পেতাম
তুই বুঝতি সবটা।
তবুও কেনো যেনো ছিলি তুই অন্যমনা।
অবশ্য,সেটাও নয় তোর অজানা।
যৌবনে গেলাম চলে, হলো সাহস সঞ্চার!
বলব বলব বয়ানে,হলো না তা যে।
তার অচিন চাওয়া
নিয়ে বাহানা।
গেলাম সরে ধীরো পদোতে!
তোর নিরব চাওয়াতে।
তোর সুখ কামনার্তে।
নিজেকে লুকালাম কষ্টের আড়ালে,
হতো না তাও ধরা যে।
কারো কারো ভালো লাগা হয়েছিলাম,
তাদের হৃদয়ে।
তবুও তাদের হতে পারিনি,
তাদের একজনারও যে।
তোর অবয়ব নয়নে এনে।
শেষ রক্ষা? হয় কি আর বল!
আমি যে তনয়া
নিজেকে সাজালাম, ঘরকন্নার আড়ালে!
তাই মন নেয় শান্তনা
তনয়াদের জীবন-ই বোধ হয় এমনটা।