টিকা যারা নিয়েছেন তাদেরকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলো আগামী জুন মাসের মধ্যে আইনে পরিণত করার নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রিসভা।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটা নির্দেশনা থাকবে; সবাইকে মাস্কটা পরতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করা এবং হাত ধোয়া অব্যাহত রাখতে হবে। টিকা যারা নিয়েছেন তাদেরকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভ্যাকসিন যাতে ডেট এক্সপায়ার্ড না হয় সেটাও দেখতে হবে। তবে আজকে কত লোক টিকা নেয় তার ওপর নির্ভর করে দেখতে হবে। আমাদের ডিসি ইউএনও থেকে সবাইকে এ বিষয়ে বলা উচিত
আরও পড়ুন
বানারীপাড়া ও উজিরপুরে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
চট্টগ্রামে করোনার টিকা নিলেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও করোনার টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু
শেখ হাসিনা বলেন, সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার জন্য ৮-১২ সপ্তাহ টাইম লাগে। ১৫ দিনে নিতে হবে বা এক মাসের মধ্যে নিতে হবে এমন না, এটা তিন মাস পর্যন্ত ইফেকটিভ থাকে। আমরা চাচ্ছি খুব তাড়াতাড়ি সেকেন্ড ডোজ দিয়ে দেওয়ার। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সেকেন্ড ডোজ দিয়ে এগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা আছে আমাদের।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, একটা উল্লেখযোগ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৩ সালে রুলিং দেওয়া হলো হাইকোর্ট থেকে, যে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট থেকে আটাত্তর পর্যন্ত এবং বিরাশি থেকে ছিয়াশির সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে অর্ডিন্যান্সগুলো (অধ্যাদেশ) করা হয়েছিল সেগুলো বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে।আর যেগুলোর প্রয়োজন নেই সেগুলো ড্রপ করে দিতে হবে। ‘এগুলোর কয়েকশ’ আইন ছিল সেগুলো সব হয়ে গেছে।
এখন ৫৯টি আইন বাকি আছে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় অনুযায়ী লিস্ট করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কেবিনেট থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যে অবশ্যই এগুলো আইনে পরিণত করবে।
এজন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনেক নতুন সচিব আসছেন তারা হয়তো জানেন না। তাদের নিয়ে আমরা আগামী ২০ জানুয়ারি বসে গাইডলাইন দিয়ে দেবো। যাতে আগামী জুন মাসের মধ্যে এগুলো সংসদে পাঠানোর মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।