সাগর মাসুদ
নিশীথের গভীরে,তপ্ত দুপুরে,বিষন্ন সন্ধ্যায়…একা লাগে খুব,পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ধাপিয়ে বেড়ানো,ভীষন ব্যাস্ত থাকা উড়ন্ত মনটাও নিমিষেই আটকে যায়, নিরীহ পাখির মতো বন্দী খাচায়।রাজ্যের মেঘ জমাট বাধে এই এ আকাশটায়।চৈত্রের দাবদাহে পোড়া, ফেটে চৌচির জলার মত এ মনটায় তেষ্টার হাহাকার।এই মেঘ,বিষন্নতা,একা-ফাকা লাগা কিংবা তেষ্টা, মিটবেনা এক পৃথিবীর সব সুখ বিলাসিতায়।সবসুখের লাগাম পেয়েও যে অভাবটা দারূন ভোগাতো,কাঁটা দিতো বাবা আদমের বুকে।
বুকের পাজরে চিনচিন ব্যাথা।আর নিঃশ্বাসের সাথে শূন্যতা যেনো এক সুতোয় গাথা।
প্রতিটা মানুষই এ অভাবে, ভীষন অভাবী,ভালোবাসাহীন জীবন, যেনো মরুভূমির শুষ্ক বালুচর।
তাইতো উন্মুখ হয়ে থাকে মন,কারোর সান্নিধ্য পেতে,মিলনের সুখে হতে মাতাল।
অথচ এ ভালোবাসা,ভালোলাগা গুলো হয়ে যায় অনেক সময়…ভুল মানুষের সাথে,ভুল সময়ে কিংবা কাঁচা আবেগে নড়বড়ে।
এ ভাললাগা,ভালবাসার স্মৃতি একেকজন একেক ভাবে পোষে, কেউবা লুকায় দীর্ঘশ্বাসে,কেউবা মেঘের আড়ালে,কেউবা ভাসায় বানের জলে।
শরীরের কোথাও জখম হলে,তা সেরে যায় বৈকি কিন্ত জখম যখন মনে, তা কি আর সারে? একজনমে।