শিউলী মজুমদার
আজকাল নিজের দিকে তাকাতে পারি না,
এই শরীর যেন অমোঘ কালো মেঘে সৃষ্টি।
বড্ড ঘেন্না হয়
আমি নারী, লালসার ঘৃনিত চোখ
প্রতিনিয়ত গিলে খায় আমার শরীর।
লালসার হিংস্র থাবা পৈশাচিক ভাবে জিভ কেটে নেয়।
অসভ্য জানোয়ারের দল অবিচ্ছেদ্য মাংসপিণ্ডকে করে ক্ষত বিক্ষত,
পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠে।
শকুনের চোখ গিলে খাওয়ার রসদ খুঁজে নেয় দেহের ভাঁজে ভাঁজে।
নরপিশাচের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ পড়ে না কোনো শিশু শরীর।
তাদের আখ্যায়িত করার জন্য পৃথিবীর সব নিম্ন শব্দগুলোও আজ অসহায়।
বড্ড ঘেন্না হয়,
নিজের অবয়ব আজ বড্ড দুর্বিষহ
লজ্জায় মুখ লুকানোর হারিয়েছি পথ।
এই শরীরেই একদিন এই জানোয়ারদের ধারন করেছিলো কোনো মা, কোনো বোন,
কোনো মায়ের জঠরেই বেড়ে উঠছিলো তিল তিল করে।
কোনো মায়ের বুকের সুধায় বেঁচে ছিল তাদের প্রান।
সেই মায়ের প্রতিমূর্তি আজ লালসায় শিকার,
সেই মায়ের শরীরের প্রতিমূর্তি আজ ভোগ্যবস্তু।
বড্ড ঘেন্না হয় সেই নারী শরীরেই নরপিশাচদের জন্ম।
ঘেন্না হয় বড্ড ঘেন্না হয়,
ধিক্কার সেইসব অমানুষদের যারা নারী গর্ভে জন্মগ্রহণ করেও নারীদের সম্মান দিতে শিখেনি।