সম্পাদনায় : মেহজাব আহমেদ প্রবাল
জরুরি ভিত্তিতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দরবারে রাজবৈদ্য নিয়োগের ঘোষনা দেওয়া হল। বিভিন্ন দেশ দেশান্তর থেকে নামি দামি বৈদ্যগন আসলেন পরিক্ষায় যোগ দিতে। সকল জ্ঞান বিবেচনায় গোপালকে রাজা দায়িত্ব দিলেন বৈদ্য নির্বাচনের পরিক্ষা নিতে।গোপালও খুশি মনে বসলেন তাদের পরীক্ষা নেয়ার জন্য।
প্রথম বৈদ্য ঘরে প্রবেশ করলেন,গোপাল তাকে প্রশ্ন করলেন
—আপনার চিকিৎসালয়ের আশপাশে কি ভূতের উপদ্রব আছে?

বৈদ্য বললেন
—আগ্যে আছে তো, প্রচুর ভূত ওদের অত্যাচারে ঠিক মতো চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারি না,আর দিনকে দিন ওদের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
গোপাল আর কিছু বললেন না, এরপর দ্বিতীয় জনকে আসতে ডাকলেন
এবার দ্বিতীয় জন বৈদ্য ঘরে প্রবেশ করলেন,গোপাল তাকেও একই প্রশ্ন করলেন
—আপনার চিকিৎসালয়ের আশে পাশে ভূতের উপদ্রব কেমন?
দ্বিতীয় জন অবাক সুরে
—আশ্চর্য কথা তো আপনি জানলেন কীভাবে,ওদের জ্বালায় তো আমি অস্থির আর দিন দিন ওদের সংখ্যা বাড়ছেই। একে একে উপস্থিত সকল বৈদ্য একই প্রশ্নের মুখে পড়লেন আর দেখা গেল সবাই এক উত্তরই দিচ্ছেন, তাদের চিকিৎসালয়ের আশে পাশে ভূতের উপদ্রব আছে।

সব শেষে একজনকে শুধু পাওয়া গেল, যার কোনো ভূত সংক্রান্ত ঝামেলা নেই। গোপাল তাকে রাজবৈদ্য নিয়োগ দিলেন। পরে দেখা গেল এই চিকিৎসকই অন্যদের থেকে সেরা।
এই কাজে রাজাও বেশ খুশি হলেন। কিছুদিন বাদে রাজা ধরলেন গোপালকে।
কৃষ্ণচন্দ্র বললেন গোপাল বল তো ঘটনাটা কি?
গোপাল বললেন
আজ্ঞে মহারাজ দেখুন সবার চিকিৎসা কেন্দ্রের আশপাশে ভূতের উপদ্রব শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে, এর অর্থ হলো তাদের রোগী মরে আর ভূতের সংখ্যা বাড়ে…আর যাকে নিলাম, তার ওখানে কোনো ভূতের উপদ্রব নেই…অর্থাৎ তার রোগী একজনও মরে না আর ভূতের সংখ্যা বাড়ে না।
এই হল এর গোপন রহস্য পরিক্ষা নেয়ার।