সম্পাদনায় : তানভীর আহমেদ
আমরা আজ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ন জেলা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলা সম্পর্কে জানবো।
বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ভৌগলিক অবস্থান ও সীমানা :
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৪টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর গড় উচ্চতা ৪৬ ফুট। এ জেলার পূর্বে মাদারিপুর জেলা ও বরিশাল জেলা,দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা, বাগেরহাট জেলা ও খুলনা জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা ও মাগুরা জেলা এবং উত্তরে ফরিদপুর জেলা অবস্থিত।
এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে। ধারণা করা হয়, এটি বল্লাল সেনের আমলের (১১০৯-১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) ঘটনা।
এর আয়তন ১৪৮৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি। প্রধান ফসল ধান, পাট, আঁখ ও বাদাম। বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদির মধ্যে রয়েছে চিনা, কাউন, আউশ ধান। জেলার প্রধান রপ্তানি ফসল পাট ও তরমুজ।
প্রাচীন নির্দেশনাদির মধ্যে আছে চন্দ্রভর্মা ফোর্ট (কোটাল দূর্গ),
বহলতলী মসজিদ (১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দ), সেন্ট মথুরনাথ এজি চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী হরিমন্দির,
ননী ক্ষীরের নবরত্ন মন্দির,
কোর্ট মসজিদ,
কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি,
দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি ইত্যাদি।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ :
গোপালগঞ্জ জেলা পাঁচটি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে..
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা
মুকসুদপুর উপজেলা
কাশিয়ানী উপজেলা
কোটালীপাড়া উপজেলা এবং
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা
চিত্তাকর্ষক স্থান
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স,
চন্দ্রা ভর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ),
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী,
কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী,
হরিণাহাটির জমিদার বাড়ী,
দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ী,
বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত),
সেন্ট মথুরানাথের সমাধি,
উজানীর জমিদার বাড়ী,
শ্রীধাম ওড়াকান্দি,
জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি,
ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ,
ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী,
ধর্মরায়ের বাড়ি,
দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি,
মধুমতি নদী,
বিলরুট ক্যানেল,
হেরন কান্দির আমগাছ,
আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি,
শুকদেবের আশ্রম,
খানার পাড় দীঘি,
উলপুর জমিদারবাড়ি,
৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ),
রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের আমলের তাম্রলিপি,
সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)।
কৃতি ব্যক্তিত্ব :
শেখ মুজিবুর রহমান – জাতির জনক;
শেখ হাসিনা – বর্তমান প্রধানমন্ত্রী;
সুকান্ত ভট্টাচার্য (কবি),
আবুল হাসান (কবি),
রকিবুল হাসান (বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক)
শেখ ফজলুল হক মনি (যুবলীগের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান),
ওয়াহিদুজ্জামান ঠান্ডা মিয়া (পাকিস্তান আমলের সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী),
শেখ ফজলুল করিম সেলিম,(সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও এম.পি)
লেঃ কর্ণেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান (সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও এম.পি.)
খন্দকার সামশুদ্দিন আহমেদ (সাবেক এম.এল.এ)
এম এইচ খান মঞ্জু (গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য),
খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ (অর্থনীতিবিদ),
এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ (সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী),
মথুরানাথ বসু (বিশিষ্ট খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারক),
চন্দ্র নাথ বসু (শিক্ষানুরাগী),
মেজর জেনারেল (অব.) মহব্বতজান চৌধুরী (সাবেক মন্ত্রী)
নরেন বিশ্বাস (বাক শিল্পী),
খালেক বিন জয়েন উদ্দিন (শিশু সাহিত্যিক),
মারজুক রাসেল (অভিনেতা, কবি ও সঙ্গীত পরিচালক),
আবদুস সামাদ (কৃতি ফুটবলার),
সোহরাব হোসেন (কৃতি ফুটবলার),
নির্মল সেন (বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, বাম রাজনীতির পুরোধা ও মুক্তিযোদ্ধা),
এম এ সাঈদ (সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার)
ফিরোজা বেগম (সংগীত শিল্পি)
কাজী হায়াৎ পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক এবং অভিনেতা।
আমাদের আজকের জেলা পরিচিতির আলোচনা এই পর্যন্ত, পরবর্তি জেলা সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন সাহিত্য পত্রিকা বাতায়ন24।