বাতায়ন24 ডেক্স
দর্শনীয় স্থান পরিচিতিতে আজ থাকছে আমাদের গাজিপুর জেলার কিছু দর্শনীয় স্থানের পরিচিতি।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান :

এটি গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত। ৫,০২২ হেক্টর জায়গা জুড়ে ভাওয়াল শালবনে এই উদ্যান গড়ে তোলা হয়। এছাড়াও এখানে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক :

এটি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত। এর আয়তন ৩৬৯০ একর। এখানে রয়েছে জলহস্তী, বাঘ, সিংহ, হাতি, সাম্বার, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, বানর, হনুমান, ভাল্লুক, গয়াল, কুমির ও বিচিত্র পাখী। দর্শনার্থীরা গাড়িতে করে চড়ে তা উপভোগ করতে পারেন।
নুহাশ পল্লী :

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বাগানবাড়ি এটি। এখানেই লিচুবাগের ছায়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত তিনি। বর্তমানে এটি নুহাশ চলচিত্রের শুটিংস্পট ও বিনোদন কেন্দ্র বব্যহার করা হচ্ছে। এখানে টিকিট কেটে দর্শনার্থীদের প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।
আনন্দ পার্ক রিসোর্ট :

আনন্দ পার্ক রিসোর্ট গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি পরিচিত নাম। ৪২ বিঘা জায়গায় বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন নিয়ে গড়ে উঠা আনন্দ রিসোর্টটির সাথে নামের যথার্থতা লক্ষ্য করা যায়। কালিয়াকৈরের সিনাবহের তালতলি এলাকায় অবস্থিত এই রিসোর্টে বিভিন্ন রকম রাইডের পাশাপাশি রয়েছে সরাসরি বিল থেকে মাছ শিকারের ব্যবস্থা। ঢাকা থেকে কাছে গাজীপুরের এই রিসোর্ট থেকে চাইলে দিনে গিয়ে দিনেই ঘুরে আসা যায়।
রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট :

গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে শালবনের ভেতরে প্রায় ৮০ বিঘা জমি নিয়ে যৌথ মালিকানায় গড়ে তোলা হয়েছে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট । বনের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে অক্ষুণ্ন রাখতে এখানে পরিকল্পিতভাবে আরো বনায়ন করা হয়েছে। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে ২৬ টি কটেজ পার্ক ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। এখানে আগত অতিথিরা চাইলে রিসোর্টের লেকে মাছ ধরা, নৌকা ও সাইকেল চালানো কিংবা শাক-সবজি ও ফার্ম ঘুরে দেখতে পারেন। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে আরো রয়েছে একটি সুইমিং পুল, ম্যাসেজ পার্লার ও ক্যাফেটেরিয়া। ঘন অরণ্যের ভেতরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ৪ তলা বিশিষ্ট প্রতিটি ভবনের ছাদে পাখির চোখে বন পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে অবজারভেশন টাওয়ার।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট :

নাট্য অভিনেতা, পরিচালক, স্থপতি তৌকির আহমেদ এবং অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরে দৃষ্টিনন্দন নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ২৫ বিঘা জমির উপর নিমির্ত এই রিসোর্টে রয়েছে দিঘী, কৃত্রিম ঝর্ণা, কনফারেন্স হল, সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্ট, একটি আবাসিক ভবন বা বিল্ডিং কটেজ এবং কাঠ, বাঁশ ও ছনের তৈরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১১ টি কটেজ। পূর্ণিমা দেখা, ব্যাঙ ও ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শোনা কিংবা জোনাকির আলোয় প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে আপনাকে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে আসতে হবে।
জল ও জঙ্গলের কাব্য :

জল ও জঙ্গলের কাব্য বা পাইলট বাড়ি খ্যাত রিসোর্টটি গাজীপুর জেলাস্থ টংগীর পুবাইলে ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে। এই রিসোর্টিতে প্রকৃতিকে অবিকৃত রেখে বাঁশ আর পাটখড়ি দিয়ে সুনিপুণ ডিজাইনারের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। অনাবিল সবুজ আর বিলের শান্ত জলে বড়শি হাতে একটি দুপুর আপনার নিভৃতচারী মনের স্বপ্নসাধ পূরণের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া ঢাকার বেশ কাছে হওয়ায় দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায়। বাঁশ, পাটখড়ির বেড়া, ছনের ছাউনি আর দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি জন্ম দিয়েছে এক পরিচ্ছন্ন গ্রামীন ছোঁয়া। জল জঙ্গলের কাব্য রিসোর্টে নিজস্ব জমিতে চাষ করা শাক-সবজি, ধান এবং বিলের মাছ দিয়ে তৈরি খাবার পরিবেশন করা হয়।
ছুটি রিসোর্ট :

ছুটি রিসোর্ট গাজীপুরের সুকুন্দি গ্রামে প্রায় ৫০ বিঘা জায়গার উপর যত্নে গড়ে তোলা হয়েছে। গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রামীণ আবহে তৈরি এই অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে নৌ ভ্রমণ এবং সংরক্ষিত বৃক্ষের বনে তাবু টানানোর ব্যবস্থা। এছাড়াও আছে ছনের তৈরি ঘর, কটেজ, মাছ ধরার ব্যবস্থা, বার্ড হাউস, ভেষজ গার্ডেন, ফল, সবজি ও ফুলের বাগান, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, দুটি পিকনিক স্পট, গ্রামীণ পিঠার ব্যবস্থা, দুটি খেলার মাঠ এবং কিডস জোন।
বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন বাতায়ন24ডট কম