সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা “লাল চুড়ি” উপন্যাসের কাহিনী ধারাবাহিকতা…
শিয়ালদা স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দুর্বার গতিতে ট্রেন চলছে। চারদিক ঘোর অন্ধকার তার উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, জানালার কাঁচ ভেদ করে কিছু দেখা যাচ্ছে না। আনমনা হায়দার চৌধুরীর হাতটা চেপে ধরতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে স্বামীর কাঁধে মাথা রাখলো হাসনা হেনা।
এদিকে রূপার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না তার মায়ের ডায়েরিতে লেখা এক হৃদয় বিদারক ঘটনার কথা! যে ঘটনাকে ঘিরে তার জন্মের ইতিহাস তাহলে কে রূপার জন্মদাতা? রূপা ডাক্তার হবার পর মায়ের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে ঠিক কিন্ত শুদ্রর সাথে মেয়ের ভালোবাসা মা কিছুতেই মানতে রাজি নন। কারণ কী তাহলে শুভ্রর দেয়া ভালোবাসার লাল চুড়ি? যদি সত্যি তাই হয় তাহলে লাল চুড়ির পেছনের গল্পটা কী?
২৫ বছর পর হায়দার চৌধুরী যখন জানতে পারলেন তাঁর সন্তান শুভ্র অন্ধগলি থেকে তুলে আনা স্বার্থপর মহিলার মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, এটা বাবা হিসেবে কখনো মেনে নেবেন না তা ছেলেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন । দুই পরিবারের বাবা আর মায়ের এই বৈরিতার কারণ খুঁজতে গিয়ে রূপা আলমারি খুলে দেখলো মায়ের অতীত জীবনের বুক ফাটা ক্ষতচিহৃ। দুঃখ আর অভিমানে রূপা সিদ্ধান্ত নেয় শুভ্রকেই বিয়ে করবে। মা হাসনা হেনা মেয়ের এই একক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি, তাই জীবনকে নতুন করে চিনতে নিজের কষ্ট বুকে চেপে মেয়ের সুখের কথা ভেবে সকাল হতেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লো অজানার উদ্দেশ্যে ।
হাসনা হেনা টিভিতে দেখে অবাক ২৬ বছর আগে মারা যাওয়া মানুষটা শুভ্র’র বাবা এ কী করে সম্ভব? তাহলে কী সে সময়ের প্রয়োজনে সেদিন পালিয়ে গিয়েছিল? শুভ্রর মাও হতবাক আর তাদের আলাপ চারিতায় হঠাৎ শুভ্র শুনতে পেল হায়দার চৌধুরী তার বাবা নন। তাহলে তার সত্যিকারের পরিচয় কী? শুরু হলো অশ্রু বিজরিত শ্বাসরুদ্ধকর বাকবিতপ্তা এর মাঝে হাসনা হেনা একমুঠো কাঁচের লাল চুড়ি নিয়ে হাজির । তাহলে নাটকীয় সমস্ত ঘটনার অন্তরালে কী লাল চুড়ির ইতিহাস? অন্ধকার জগতের বিস্মৃতি, তারপর রূপাকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইটা কেমন ছিলো? পারিবারিক বৈরিতায় বিসিএস কমপ্লিট করা শুভ্র কীভাবে দাঁড়াবে রূপার সামনে? জীবনের জন্য কর্মযুদ্ধ, প্রেম ভালোবাসা, দুঃখ বেদনা, মহানুভবতা আর ত্যাগ এসব ঘটনাকে ঘিরে পাঠকের সহিষ্ণু ভালোবাসা পেতে গ্রামের প্রকৃতি আর শহুরে কোলাহল মিশ্রিত জীবনযাত্রা নিয়ে সত্য গল্প অবলম্বনে লেখা উপন্যাস “লাল চুড়ি” ।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক, কবি, মানবাধিকার কর্মী ও সাহিত্য পত্রিকা বাতায়ন24 এর সম্পাদক খোরশেদ আলম বিপ্লবের উপন্যাস “লাল চুড়ি” একুশে বই মেলা ২০২১ প্রকাশিত হচ্ছে।
তরুন গবেষক, লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তি এ এস এম ইউনুস স্বত্বাধিকারী ইন্তামিন প্রকাশনির ব্যানারে প্রকাশিত হচ্ছে “লাল চুড়ি”।
বাস্তব আর সত্য ঘটনার অবলম্বনে লেখা উপন্যাস কাহিনী।
লেখকের গত ২০২০ একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয় দুইটি বই “রক্তে ভেজা শার্ট” ও “শেষ বিদায়ের অশ্রু”।
লেখা লেখি ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংঘঠনিক ও সেবামূলক কাজে সব সময়ের জন্য নিবেদিত প্রান সদাহাস্যজ্জোল একজন মানুষ।
তিনি সমান ভাবে ভারত বাংলায়ও একজন খ্যাতিমান লেখক হিসাবে সুপরিচিত এবং বর্তমানে বিভিন্ন নাটকে তাকে দেখা যায় একজন সফর অভিনেতা হিসাবে।