বয়ান হাতে আবার হাজির
বলছি আমি শুনছে সুধী,
একটা নদীর গল্প নিয়ে।
রোজ জোয়ারে আবেগ আসে
ঢেউ এর তালে প্রেম মাখে
দিব্যি জোয়ার চলে গেলে
রোজ কলঙ্ক উঁকি মারে
এরপরেতে,
চার-পাঁচ জনা
কেমন করে তোলে ফণা,
অমনি ভাটা রাত করে ভোর
সেই ন’জনার চক্ষুশুল
বাবা এলো নয়নভরে
মেয়ে ভাসে আকুল গাঙে
মাঝ দরিয়ায় কূল হারিয়ে
পাশে বসে বলে উঠে
ও মা, তোর জায়গা খুঁজিস?
ভয় কি তোর?
এরা না হয় এক ঘরে কয়!
কিন্তু তুই তো আমার
তা থৈ থৈ!
পরাণ খুলে বাধিস গান
নয়তো করিস নতুন ঢং
তুই ছিলি এক অবাক বাবার
কথা কইবার চড়ুইখানা
সেই চড়ুইটার এক প্রহরে
পরাণ গেল ন’ জনাতে!
ও মা, যারা তোকে পীড়ন করে
পাষন্ডতার রুপ দেখালো!
আমি তোকে ভাসিয়ে দিলাম
এক নদীতে মা ভাসালাম।
আমার মা তাই আসছে না আজ
আমার মা গেল ভেসে
তোমার সমাজ তখন বোবা সাজে!
ঘর খানি আজ উজাড় হয়ে
পাগলা কানাই বসে থাকে,
মা কে আমার পাহারা দি
এ নদীতে বুকে রেখে!
একটি দাবী
চোখে মেয়ে নদী হয়ে
নামের জন্যে কাঁদছে সারা
তাই বলছি,
নদীর নামটি নয়ন তারা!
নারী কেন্দ্রিক কবিতার মধ্যেও একজন বাব(পুরুষ )কথা কবিতাটি আরো প্রাণ সঞ্চাল বাড়িয়ে দেয় |
অপরদিকে এই সমাজের ছোট মানবিকতা, নোংরা মনের পুরুষরা অন্যায় ভাবে নারীদের প্রতি আজও অত্যাচার করে যাচ্ছে তার সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন লেখিকা!!
বেশ ভালো লাগলো কবিতাটি পড়তে ||
লেখিকার জন্য আগামীদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকলো |||
খুব সুন্দর লেখা