শতাব্দীর ভয়াবহ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি করোনা মহামারী সংকটময় সময়ে এবার পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলো ।
আজ ৩০ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয় । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার উদ্বোধন করলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ফল গ্রহণ করেন । এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
গত বছরের ১ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করায় ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সরকার পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমান শ্রেণির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন সরকার।
এক্ষেত্রে জেএসসির ফল থেকে ২৫ শতাংশ এবং এসএসসির ফল থেকে ৭৫ শতাংশ নিয়ে গড় করে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরে ফেল করা শিক্ষার্থীরাও এবার পরীক্ষার্থী ছিল। তাদেরও পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পরীক্ষার্থীই পাশের মুখ দেখলো।
এদিকে, গেলো ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর বিল তিনটি আইনে পরিণত হয়। সোমবার রাতে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড (সংশোধন) আইন-২০২১’ ও ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) আইন-২০২১’- এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এসএসসি ও জেএসসির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল দিতে এই আইনটি পাস করা হয়।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি রোববার সংসদে প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ পাসের জন্য উত্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১ ও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১ বিল দুটি পাস হয়।