সম্পাদনায় বাতায়ন24
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ রাসুল।
কালিমায়ে তাইয়েবা (মহা পবিত্র বাক্য)। একজন মানুষ ইসলামে প্রবেশের প্রথম ও একমাত্র দরজা।
এর উপর স্থাপিত দ্বীন ও ঈমানের আকাশ ছোয়ার মিনার। জন্মগত কোন কাফের-মুশরিকও যদি এ কালিমা গ্রহণ করে এবং তা বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করে তাহলে মুহূর্তের মধ্যে সে মুমিন ও মুসলমান রূপে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করে;
দুনিয়া ও আখেরাতের চির মুক্তি ও নাজাতের অধিকারী হতে পারে। তবে শর্ত হলো এ কালিমার মাধ্যমে মহান আল্লাহর তাওহীদ এবং প্রিয় নবীর রেসালাতের যে স্বীকৃতি সে তা দান করলো তাকে তা বুঝতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে এবং মনে প্রাণে মেনে নিতে হবে।
কিন্তু সে যদি তাওহীদ ও রেসালাতের মর্ম মোটেই বুঝতে না পারে, শুধু মুখে কালিমা উচ্চারণ করে, তাহলে আল্লাহ তাআলার নিকট সে মুসলমান রূপে গণ্য হতে পারবে না। এই জন্য কালিমায়ে তাইয়েবার অর্থ ও মর্ম শিখে নেওয়া জরুরি সবার আগে জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ন।
কালিমার প্রথম অংশ :
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
এর মাঝে আল্লাহ তাআলার তাওহীদের স্বীকারোক্তি অন্তনিহিত। এই স্বীকারোক্তির মর্ম হলো, মহান আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বা ব্যতীত এমন কিছু নেই, যা ইবাদত ও উপাসনার উপযুক্ত হতে পারে। এবং ইবাদত,বন্দেগী ও সিজদাহ কেবল মহান আল্লাহ তাআলার একক প্রাপ্য। তিনিই স্রষ্টা, তিনিই মালিক, রিযিকদাতা, পালনকর্তা।
মহান আল্লাহ শুধু জীবনদাতা আর কেবল তিনিই মৃত্যুদাতা, রোগদাতা-আরোগ্যদাতা। উপকার-অপকার, স্বচ্ছলতা-দরিদ্রতা মোটকথা, জগতের সকল ভাঙ্গাগড়ার একমাত্র মালিক তিনি মহান আল্লাহ। আসমান জমিনের সবকিছু মানুষ, ফেরেশতা হোক অন্য কোন ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ আর যাইহোক সবই তাঁর সৃষ্টি, তাঁর হুকুমের গোলাম।
মহান আল্লাহ পাকের কোনো সমকক্ষ নেই। তাঁর রাজত্বে দ্বিতীয় কারো কোন অংশ নেই। কারো কোনো শক্তি নেই তাঁর কাজে ব্যাঘাত ঘটাবার।
সুতরাং তিনিই শুধুই তিনি ইবাদতের উপযুুক্ত। সুখে-দুঃখে সৃষ্টি কেবলি তাঁর দিতে ছুটে যাবে। বিপদে-আপদে জীবনের সকল প্রয়োজনে মানুষ তাঁরই দরবারে হাত ওঠাবে, অশ্রু ঝরাবে এবং ফরিয়াদ জানাবে। তিনি প্রকৃত বাদশাহ। দুনিয়ার সমস্ত হাকিমের চেয়ে বড় তিনি। মহীয়ান,গরীয়ান তিনি।
সুতরাং তাঁরই হুকুম মান্য করা উচিৎ। পরম আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে শুধু তাঁর হুকুম মোতাবেক জীবন যাপন করা উচিত। তাঁর হুকুম লংঘন করে কখনো কারো কথায় কর্ণপাতই করা উচিৎ নয়। সে যেই হোক; দেশের সরকার, বংশের সরদার, আপন পিতা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এমনকি নিজের দিলের চাহিদা কিংবা অন্তরের প্রত্যাশা হলেও না।
আমরা আল্লাহ তাআলাকেই ইবাদতের উপযুুক্ত বলে জেনেছি, মেনে নিয়েছি এবং তাঁর গোলামি এখতিয়ার করে নিয়েছি। এবার আমাদেরকে আমদের বিশ্বাসের অনুরূপ কাজ করে দেখাতে হবে। দুনিয়াদারেরা যেন বুঝতে পারে, আমরা এক আল্লাহর গোলাম। আমরা কেবল আল্লাহর হুকুম মতো চলি। আল্লাহর জন্য বাঁচতে চাই, আল্লাহর জন্যই মরতে প্রস্তুত থাকি।
এই কালিমার প্রথম অংশ সেই কথারই মূলভাব ও বর্হিপ্রকাশ প্রতিটা বিশ্বাসী মানুষের জন্য।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-
এটা আমাদের স্বীকৃতি ও ঘোষণা।
এটা আমাদের বিশ্বাস ও চেতনা।
এটাই আমাদের কাজ ও প্রেরণা।
কোন মানুষের ঈমানী দালানে প্রথম ইট হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর এটাই ছিলো উম্মতেদের প্রতি সকল নবী-রাসূলের প্রথম ও প্রধান সবক পথনির্দেশনার। দ্বীনের সকল বিষয়ের মাঝে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর মর্যাদা সর্বাধিক।
এই সম্পর্কে নবীজী (সাঃ) ইরশাদ করেন,
الْإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ: أَفْضَلُهَا قَوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ
ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা রয়েছে। তার মাঝে সর্বোত্তম শাখা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর প্রবক্তা হওয়া।… সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৬৭৬
এ জন্য সমস্ত যিকিরের মাঝে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। অন্যএক হাদীসে এসেছে,
أَفْضَلُ الذِّكْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
যিকির সমূহের মাঝে শ্রেষ্ঠ যিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।… সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩৮০০
অপর একটি হাদীসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে বলেন,
يَا مُوسَى لَوْ أَنَّ أَهْلَ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعِ فِي كِفَّةٍ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فِي كِفَّةٍ، مَالَتْ بِهِمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. أَخْرَجَه النَّسَائِيُّ بِسَنَدٍ صَحِيحٍ كما قال ابن حجر في فتح الباري.
হে মুসা! সাত তবক আসমান-জমিন এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, সবি যদি এক পাল্লায় রাখা হয়, আর অন্য পাল্লায় শুধু ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়, তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর পাল্লাই ভারী হয়ে যাবে।…সুনানে কুবরা নাসাঈ, হাদীস নং ১০৬০২
কালিমায়ে তাইয়েবার এই অংশটুকুর এত ওজন ও ফজিলত এজন্য যে, এর ভেতর আল্লাহ তাআলার তাওহীদ ও একত্ববাদের স্বীকৃতি রয়েছে। তাঁর ইবাদত করা এবং তাঁর হুকুম মতো চলার অঙ্গীকার নিহিত আছে। এটাই ঈমানের রূহ এবং প্রাণস্পন্দন। নবীজী উম্মতকে বারবার এই কালিমা পাঠ করে ঈমান তাজা করার জন্য নসীহত করেছেন
جَدِّدُوا إِيمَانَكُمْ. قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، وَكَيْفَ نُجَدِّدُ إِيمَانَنَا؟ قَالَ: أَكْثِرُوا مِنْ قَوْلِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ. قال الهيثمي إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ.
হে লোকসকল! তোমরা সব সময় তোমাদের ঈমানকে তরতাজা রাখার চেষ্টা করো। কতক সাহাবী আরজ করলেন, ঈমান তাজা রাখার উপায় কী? নবীজী ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর যিকির করো।… মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৮৭১০
এই কালিমার যিকির দ্বারা ঈমান তাজা হওয়ার কারণ হলো এতে আল্লাহ তাআলার বন্দেগীর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়। সর্বাবস্থায় তাঁর প্রতি নিবিষ্ট এবং তাঁর মুহাব্বত ও ভালোবাসায় নিমগ্ন থাকার প্রেরণা সৃষ্টি হয়। সুতরাং যত গভীর ধ্যান ও পরম উপলব্ধির সঙ্গে আমরা বেশী বেশী এই কালিমার যিকির করবো, নিশ্চিত ভাবে আমাদের ঈমান সে পরিমাণ তাজা হতে থাকবে, ঈমানের মজবুতি ততই বাড়তে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এভাবে এক সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’এর যিকিরই আমাদের সর্বক্ষণের আমল হয়ে যাবে এবং এর দাবী অনুযায়ী জীবন যাপন আমাদের বৈশিষ্ট্যে পরিণত হবে।
সুতরাং, আসুন আমরা খাঁটি দিলে ধ্যানের সঙ্গে বেশী বেশী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ যিকির করি, যাতে আমরা ঈমান তাজা রাখতে পারি। আমাদের জীবনকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর ছাঁচে ঢেলে সাজাতে পারি।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে জীবন চালানোর তৌফিক দান করুন এবং সে অনুসারে জ্ঞান দান করুন।
আমাদের এবারের আলোচ্য হল কালিমার দ্বিতীয় অংশ: মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
কালিমার এই অংশে ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ সাল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার নবী হওয়ার ঘোষণা রয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নবীজী (সাঃ)কে পৃথিবীবাসীর হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করা এবং কোরআন আল্লাহ তাআলার বাণী হওয়া, ফেরেশতার বিদ্যমানতা, কেয়ামত সংঘটিত হওয়া, মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত হওয়া, নেককারের জন্য জান্নাত এবং বদকারের জন্য জাহান্নামের ফয়সালা হওয়া ইত্যাদি যত সংবাদ নবীজী দান করেছেন, সবই ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাস করা।
নবীজী (সাঃ) আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে অকাট্য ও নিশ্চিত জ্ঞান লাভের পর উম্মতকে তা জানিয়েছেন। এর মাঝে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। এমনি ভাবে নবীজী অন্যান্য যে সকল হেদায়েত দান করেছেন, যে সমস্ত হুকুম-আহকাম ও বিধানাবলী বর্ণনা করেছেন, সেগুলো মূলত আল্লাহরই আহকাম ও হেদায়েত। আল্লাহ তাআলা ওহীর মাধ্যমে নবীজীর অন্তরে সেগুলো ঢেলে দিয়েছেন।
এই আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, কাউকে আল্লাহর নবী ও রাসূল হিসেবে মেনে নেওয়ার অর্থ তাঁর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। কারণ আল্লাহ তাআলা যে বিধানাবলীর উপর মানব মণ্ডলীকে চালাতে চান, সে বিধানগুলিই নবীর মাধ্যমে বান্দাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,
وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ
আমি কেবল এজন্য নবী প্রেরণ করেছি যে, আমার হুকুমে নবীর আনুগত্য করা হবে, তার আদেশ-নিষেধগুলো মান্য করা হবে।…সূরা ৪, আয়াত ৬৪
মোটকথা নবীর উপর ঈমান আনার উদ্দেশ্য নবীর কথা সত্য বলে বিশ্বাস করা, তার বাতানো হেদায়েত ও শিক্ষাকে আল্লাহ তাআলার হেদায়েত ও শিক্ষা বলে মনে করা এবং তাঁর শেখানো তরিকার উপর চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি মুখে কালিমা পড়ে নিয়েছে, কিন্তু নবীজীর আনীত সকল বিষয়কে সত্য মনে করে না, নবীজীর তরিকার বিপরীত সকল মত ও পথকে অকার্যকর জ্ঞান করে না, নবীজীর দেয়া শরীয়ত মোতাবেক জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নেয় না, আসলে সে মুসলমানই নয় এবং সে মুসলমান হওয়ার সঠিক অর্থই বুঝেনি।
আর আমরা যখন কালিমা পড়ে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলার সত্য নবী বলে স্বীকার করলাম, তখন তাঁর হুকুম মতো চলা, তাঁর দেয়া শরীয়ত অনুযায়ী আমল করা এবং তাঁর সকল কথা মান্য করা আমাদের উপর অপরিহার্য।
তাহলে কালেমায়ে তাইয়েবা হল : একটি শপথ একটি অঙ্গীকার
কালিমার উভয় অংশের ব্যাখ্যা থেকে দেখা যায় যে, কালিমা যেন এক মহিমাময় শপথবাক্য। যার সার কথা হলো, আমি কেবল আল্লাহ তাআলাকে ইবাদতের উপযুক্ত মনে করি, দুনিয়া ও আখেরাতের সকল বিষয় তার কুদরতের কব্জায় রয়েছে বলে বিশ্বাস করি। সুতরাং আমি তারই বন্দেগী ও গোলামি করি। তাকে ভালোবাসি, তার হুকুম মতো জীবন পরিচালনা করি এবং আমি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলার প্রেরিত সত্য নবী বলে স্বীকার করি। জীবনের সকল বিষয়ে আমি তার আনুগত্য করি, তার আনীত হেদায়েতের অনুসরণ করি।
এবং এমন ভাবে শপথ নেওয়াকেই বলে ঈমান আনা, তাওহীদ ও রেসালাতের সাক্ষ্য দেওয়া।
সুতরাং এই কথা ও বাক্য স্মরণ রাখা এবং এর দাবী অনুসারে জীবন গড়া প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। তাহলে সে জান্নাতের হকদার হতে পারবে, আল্লাহ তাআলার নিকট সত্যিকার মুমিনের মর্যাদা লাভ করবে।
যে ব্যক্তি খাঁটি মনে কালিমার এই দুই অংশ তথা তাওহীদ ও রেসালাত স্বীকার করবে এবং কাজকর্মে এর বর্হিপ্রকাশ ঘটাবে, এমন খোশনসীব বান্দার জন্য রয়েছে বড় সুসংবাদ!
এই সম্পর্কে নবীজী (সাঃ) ইরশাদ করেন,
مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ، حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ النَّارَ
যে ব্যক্তি খাঁটি মনে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’-এর স্বাক্ষ্য দেবে, আল্লাহ পাক তার উপর জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।…সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭
তাই আসুন,কালিমার হাকীকত ও মাহাত্য অন্তরে নিয়ে আমরা তাওহীদ ও রেসালাতের সাক্ষ্য দিই। এই কালিমার দাবী অনুসারে আপন আপন জীবন পরিচালনার করি।
অন্যথায় আমাদের এই সাক্ষ্য ধোকা ও প্রতারণা বলে সাব্যস্ত হবে। আমাদের ঈমান ও ইসলাম শংকার ভেতর পড়ে যাবে। অথচ এই কালিমা আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তির মূলমন্ত্র। ঈমান ও ইসলামের প্রথম ও প্রধান বুনিয়াদ। সুতরাং পরম ভক্তি ও সুগভীর বিশ্বাসের সঙ্গে বলি,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ-
এটা আমার স্বীকারোক্তি, এটা আমার ঘোষণা।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে কবূল করুন ও সেই মত জীবন পরিচালনা করার সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমিন
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ- এ বিশ্বাস আমার, এই চিন্তা-চেতনা আমার।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এটাই দাওয়াত আমার, জীবনসূত্র আমার। এরই প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় জীবন আমার, মৃত্যু আমার।