আসমা আক্তার কাজল
তোমরা আমায় আর কতোবার মারবে,
কতোবার হবো আমি জীবন্ত লাশ?
আমি তো সেই কবেই মরেছি
বাবা-মাকে সবে যখন চিনতে শুরু করেছি।
আমি তো সেই অবেলায় মরেছি
যখন আমার পিতার রক্তে
রঙিন হয়েছিলো রাজপথ,
পিতা হারানোর শোকে
চিৎকার করে কেঁদে ছিলাম
সেদিনই আমি প্রথম মরে ছিলাম।
আমায় আর কতোবার মারবে,
কতোবার কেড়ে নিবে বাঁচার অধিকার?
নিজের সুখের জন্য আমার কচি হাত ছেড়ে
মা যেদিন চলে গেলো অন্য ঘর
সেদিন আমার মরণ হলো পুনরায় দ্বিতীয় বার।
আমায় আর কতোবার মারবে,
আর কতোবার মানুষ রূপে বাঁচবো হয়ে জানোয়ার?
ক্ষুধার জ্বালায় ডাস্টবিনে
কুকুরের সাথে যেদিন খেয়ে ছিলাম খাবার
সেই মুহূর্ত্বে মৃত্যু হলো আমার আরো একবার।
আমায় আর কতোবার মারবে,
কতোবার হবো আর শকুনের স্বীকার?
বাসার মালিকের বখাটে ছেলের
যখন হই কামনার আহার
সেই ক্ষণ শতভাগ পূর্ণ হয়েছে মৃত্যু আমার।
আমায় আর কতোবার মারবে,
আর কতোবার বেঁচে উঠবো নতুন করে জন্য মরার?
আমি তো প্রতিদিন,প্রতি মুহূর্তে মরি বারংবার;
প্রকৃতি,সমাজ,সংসার এমনকি সভ্যতার কাছে