নীল কাব্য
আমি বাংলার বুকে জন্মেছি, বাংলা আমার দেশ
সবুজ শ্যামল রূপের রাণী রূপের নেই যে শেষ,
সোনালি রোদের সোনার রূপে, মন যে পাগল করে
কুয়াশার ভোরে খেজুরের রসে শীতের চাদর জুড়ে,
হিম হিম হিমেল পরশ সুখের পবন বায়!
শীত বুড়ির মিষ্টি আমেজ ভাপা,পুলি,পাটিসাপটায়।
বাংলা মাগো তুমি যে আমার প্রাণের মানিক ধন
তুমি বিহনে অন্য কোথাও টানে না এ-মন,
শহুরে এই কংক্রিট জীবনে,মন যখন ক্লান্ত
ছুটে যাই ভাবনায়!স্বপ্নের গাঁয়ে, মন হয় শান্ত,
যেথায় বিরোহী ডাহুকী কাঁদে ডাহুকের বিচ্ছেদে!
ডেকে ওঠে পেঁচা রাতের আঁধারে বিষন্ন চিৎকারে।
বাংলা আমার জন্মভূমি, আমি যে বাঙালি
এতো রূপ এতো সূধা পাবো কোথা,আহা মরি! মরি!
মধুমতি নদী দেয় ছড়িয়ে রূপের মাদকতা
তার সাথে আছে কার তুলনা,যাদুর অজস্রতা,
কখনো কখনো পদ্মার ঢেউ হয়ে ওঠে প্রতিবাদ মুখর
মানুষরূপী হায়েনা যেন আজ বিরাজ সর্বত্র,
নিজ স্বার্থে অশান্ত করে তোলে, শান্ত পৃথিবী কে
বিবেক আজ বর্জিত তাদের নর্দমার আস্তাকুঁড়ে।
তবু ও আছে এই দেশে সোনার কিছু মানুষ
করেছিলো প্রতিবাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে, যুগিয়েছে সাহস,
হয়তো নেই আজ তারা বাংলার বুকে,আছেন ওপারে!
বাংলার ইতিহাসে স্বার্ণক্ষরে নাম তদের লিখা রবে,
আমি বাঙালি, দেশ বাংলা,আছে আমার ভাষা গর্বের
শেখ মুজিবুর রহমান,চির অম্লান, নাম জাতির জনকের।