শুক্লা রজনীর চন্দ্রমা কে বলেছে তুমি হাসতে পারো?
ক্ষণিকার পূর্ণিমা তুমি, মরীচিকা– মেঘের তমসায়,
আমার প্রিয়ার হাসিতে গ্রীষ্ম ভিজে ওঠে যৌবনের বর্ষায়
তার মৃন্ময়ীমুখে সূর্যরশ্মির প্রতিফলনে
আকাশের রংধনু লজ্জায় বলে হায়!
স্বর্গদেব তুমি গর্বিত চিরবসন্ত কানন থেকে,
জানো না কি?তোমার অপ্সরা শরমে মরে গেছে
আমার প্রিয়ার আণবিক সৌন্দর্য দেখে
তিলোত্তমা দেখে নাও কি করে তুলতে হয় নুপুরের ঝংকার!
যার অনুভবে হৃদয়ে ভেসে উঠে সীমাহীন সুরের অলংকার!
ইতিহাস সৃষ্টিকারী কুবেরগণ বানিয়েছে কত মহল,কত তাজ,
আর আমার আকাশের নীহারিকা মাটির পৃথিবীতে!
তাতে নেই অভিমান,স্বচ্ছন্দে চলে আঁধারের আলোতে সুরভি,
খুঁজে নিতে চায় কুয়াশার বুক থেকে এক ফোঁটা শিশির
কি করে বলি প্রিয়াকে, “হরিণী তোমাতে আছে মৃগনাভি শান্তির নীড়। “
সে আমার সকল ক্লান্তির অবসান দিগদর্শিনী ধ্রুবতারা
তার উদার মায়াজড়ানো বিশাল হৃদয় আমার দিগন্ত।