কাউসার হামিদ শ্রাবণ
আমার গ্রামে আছে মেঠো এলো পথ
সেই পথে হেঁটে যায়,কত পথিকের রথ।
গাছে-গাছে হাট বসায় পাখিরা সব
কিঁচির-মিঁচির সুরে করে কলরব।
মেঠো পথে দেখা যায়,বড় তালগাছের সারি।
সেই গাছে ঝাক বাঁধে চুড়ুই-পাখিদের বাড়ী।
একহাটু বৃষ্টিতে ডুবে দেয় খুঁকি।
মাছ ধরার লাগি তবে হয়ে যায় খুশি।
আমার গ্রামে তবে বাধল নামে।
বর্ষার নানারুপ আষাঢ়-শ্রাবণে ঝাড়ে।
কাঁদা মাখা পথ ধরে হেটে যায় কৃষাণ
লাঙল কাধে তবে সোনার সবুজ ফলান।
মেঠো পথের বাক দিয়ে ছুটে গেছে নদী
কালিদাহ নাম তার স্থীর নেই গতি।
একহাটু জলে এলে মাছ ধরে সবে
জল আর কাধা ছুড়ে কত মজা করে।
সোনা ভরা ধান তার আলপথ দিয়ে।
কাঁধে তে বোঁঝা রেখে বাড়ি আসে নিয়ে।
উঠোন রোধে শুকায় কৃষানীর ঝাঁক
ঢেকিতে ধান ভানে করে পীঠা-ভাত।
পাড়ার ছেলে দল করে কত খেলা
সন্ধ্যায় বাতিকূপে করে লেখা পড়া।
তেল ফুরোলে সব বসে উঠোন কোনায়
বুড়া-বুড়ি,শিশু-জোয়ান কত গল্প হাকায়।
গল্পের ভাব জমে কত হাসি-রসিকতায়
আলসে ঘুম আসে শীতল পরশ হাওয়ায়।
ছোট সোনা-বাবু ঘুমায় চাঁদের আলোয়
চাঁদ মামা টিপ দেয় রোজ মাটির ধুলোয়।
আসো তবে ভাই আমার সোনালী গ্রামে
যেতে নাহি দিবো তবে, খেতে দিবো সবে।
একসাথে কথা হবে,কত মজা-রসিকতা
কষ্ট পেলে পেতে দিবো শুতে গুল্ম-লতা।
আমার গ্রামে আছে কত বিচিত্র বুলি
হরেক রকমে সাঁজে যেন শিল্পের তুলি।
এ গ্রামে মিশে আছে কত সোনাঘাম
পারিবোনা দিতে কভু ভালবাসার দাম।