আমরা জানি সব বাচ্চারা সব সময় অনুকরণ প্রিয় এবং বড়দের অনুকরন করে চলে। তার আশে পাশে থাকা বড়রা যা করে, শিশুরা সেই অভ্যাস মতই গড়ে উঠে। আর তাই শিশুদের সঙ্গে পরিবারের সদস্য, বাবা-মা অথবা অভিভাবকের আচরণ মার্জিত, সুন্দর এবং শিক্ষণীয় হওয়া আবশ্যক।
আমাদের উচিত শিশুদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ না করা; যা তাদেরকে বিপথগামী করে বা তাদের ছোট্ট মনে কোনো অযাচিত প্রশ্নের উদ্রেক হয়। আপনার সন্তনকে কিভাবে আদর্শবান মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবেন সে সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখি চলুন …
আপনার সন্তানের প্রশংসা করুন যদিও সে কোনো কাজে ১০-এর মধ্যে ৪ পায়। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সামনে অথবা অন্যদের সামনেও সন্তানের প্রশংসা করুন।
আপনার সন্তানকে কখনোই ভাবতে দেবেন না যে, তার কাজ করার যোগ্যতা নেই। কখনোই আপনার সন্তানের সামনে অন্যের সন্তানকে বড় করে দেখবেন না বা তুলনা করবেন না।

সবসময় আপনি সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। কথা বলুন মায়া-মমতা ও স্নেহের সঙ্গে। কখনো তাদের সঙ্গে অভদ্র ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করবেন না। যেমন- কোনো জিনিস চেয়ে বলবেন না যে, দে, যা ইত্যাদি। বরং তাদের সঙ্গে বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে বলুন- দাও, যেতে পার, খেয়ে নাও ইত্যাদি।
আপনার সন্তান যখন বড় হতে থাকবে তখনো ছোট বেলার মতো তাকে সমান ভাবে সঙ্গ দিন। তারা বড় হয়ে গেছে ভেবে তাদের খেলাধূলাসহ সব কাজ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। যদি তাদের এড়িয়ে চলেন, তবে সে মানসিকভাবে বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে যাবে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে সন্তানকে সহায়তা করুন। সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঠিক উপায় আপনার কাছ থেকেই শিখবে। তাকে প্রতিশ্রুতি বা দিক-নির্দেশনা দিন, গাইড বা সঠিক নির্দেশক হিসেবে তাদের সঙ্গে কথা বলুন। যদি তারা কোনো কিছু করতে চায় বা কোথাও যেতে চায় তবে তাদের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করুন।
আপনি যখন কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিবেন তখন সন্তানের মতামত জানুন। যেমন- আপনি একটি গাড়ি ক্রয় করবেন। সেক্ষেত্রে সন্তানের কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করুন কি ধরণের গাড়ি তার পছন্দ ইত্যাদি। এতে তাদের মাঝে পরমর্শসূলভ অভ্যাগ গড়ে ওঠবে।
আমরা সন্তানদের প্রতি সঠিক যত্ন নেব ও তাদের মেধা বিকাশে সহায়তা মূলক কাজ করব, যাতে তাদের ভবিষ্যৎ হয় সুন্দর আর সফলতাময়।