বাতায়ন24 ডেক্স
অরন্য কথনে আমাদের আজকের বিষয় হচ্ছে আমাদের সবার পরিচিত একটি ঔষধি গুন সম্পন্ন উদ্ভিদ আকন্দ।
এটি এক প্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ,গাছটি সাধারণত: ৩-৪ মিটার পর্যন্ত উচুঁ হয়ে থাকে। আকন্দ আবার দুই ধরণের হয়ে থাকে শ্বেত আকন্দ ও লাল আকন্দ।
শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা ও লাল আকন্দের ফুলের রং বেগুনি রং এর হয়ে থাকে। গাছের পাতা ছিড়লে কিংবা কান্ড ভাঙ্গলে দুধের মত কষ (তরুক্ষীর) বের হয়। ফলসবুজ,অগ্রভাগ দেখতে পাখির ঠোটের মত। বীজ লোম যুক্ত,বীজের বর্ণ ধুসর কিংবা কালচে হয়ে থাকে।
উপকারিতা ও লোকজ ব্যবহার :
আকন্দ চুলের রোগ, ব্যাথা এবং বিষনাশে বিশেষ কার্যকরী। দাদ ও টাকপড়া নিবারক। আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে লাগালে দাত ব্যথা দূর করে এবং যোনিতে ধারণ করলে গর্ভপাত ঘটায়। আকন্দ বাত ব্যথা নিবারক ও ফোলা অপসারক। আকন্দ পাতা ও হলুদের তৈরি বড়ি শোথ/ ফোলা/পান্ডু রোগ নাশখ এবং রস কৃমি নাশক।
এই গাছের কোন অংশ কি ভাবে ব্যবহার করতে হয়:
অম্বল/এসিডিটি দেখা দিলে:
০.৬৫ গ্রাম পরিমাণ আকন্দ পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়।
পেট কাপড়ানি বা পেট জ্বালায়:
আকন্দ পাতার সোজা দিকে সরিষার তেল মাখিয়ে পাতাটি অল্প গরম করে পেটের উপর রাখলে বা ছেঁক দিলে পেট কামড়ানো বা পেট জ্বালা বন্ধ হয়।
শোথ/ফোলা রোগে:
আকন্দ বিশেষ উপকারী। ফোলাজনিত কারনে কোন স্থান ফুলে উঠলে আকনদ পাতা বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
শ্বাস কষ্টে:
আকন্দের শিকড়ের ছাল প্রথমে গুড়া করে তারপর আকন্দের আঠায় ভিজিয়ে রেখে পরে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর তা চুরুট বানিয়ে ধুমপান করলে শ্বাস কষ্ট ভাল হয়।
নিউমোনিয়া জনিত বেদনায়:
আকন্দ পাতার সোজা দিক ঘি মেখে ব্যথার জায়গায় বসিয়ে লবনের পুটলি দিয়ে ছেক দিলে উপকার পাওয়া যায়।
হজম শক্তি কমে গেলে:
২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো আকন্দ মুল গুড়া করে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
আয় :
প্রতি একর জমিতে বার্ষিক ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আকন্দ চাষ করে আয় করা সম্ভব।