আমার নিজের ঘর কাঁচের তৈরি,
তাই অন্যের ঘরে ঢিল ছুড়তে যাওয়া
আমি না নিতান্তই অনুচিত বলে মনে করি।
টুকরো টুকরো করে ভাঙা আমার হৃদয়,
তাকে জোড়াতে পারি না কেনো?
যুযুধান প্রেমের গন্ধের আলিঙ্গন পাই সর্বক্ষণ,
কখনো তা আবর্তিত হয় নীল আকাশের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের আগুনে,
আমায় সে ডাকে;
ডাকে সে দু’বাহু তুলে
ব্যাধির মতো রুগ্ন হাসি নিয়ে–
দস্যুদলের রক্ত পিপাসার মতো উপড়ে নিতে চায় হৃৎপিণ্ড!
বিক্ষুব্ধ চিন্তা সকল আড়মোড়া ভাঙ্গে
আড়মোড়া ভাঙ্গে রক্তাক্ত নিথর শরীরে।
রঙ বদলের খেলায় হারিয়ে যায় প্রথম প্রেম—
আসে দ্বিতীয়,
সেও হারিয়ে যায় হয়তো!
কেনো এমন হয়?
পাথরে লুকনো সোনা
তাকে খুঁজে পেতে—
পৌঁছুতে হয় দুঃখ-কষ্টের প্রাজ্ঞ কে জয় করে।
জানো প্রিয়তা;
ঋণের দায়ে জর্জরিত এ হৃদয়
ব্যথার আভাসে দ্বিপ্রহরে আসে প্রভাত সূর্য…
সে খুঁজে পেতে চায় প্রেমের আঁচড়ে–
ক্ষতবিক্ষত জীবন্ত স্পন্দনের মৃত দেহ।
স্পর্শহীন অন্ধকারে হারিয়ে যাই বজ্রের হুংকারে।
তীব্র ভালোবাসার অসুখে ধরেছে আমায়,
গাছ যেমন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে শান্ত হয়ে,
আমিও ভাবনার আবডালে নিঃশ্চুপে ভাবি
আমাদের চেতনা, কবিতা, গান কি আবার জুড়তে পারে না?
জুড়তে পারে না ঝাপসা হয়ে আসা অবাধ্য চিন্তা সকল।
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে শুধুই পাথুরে বাঁকা পথ!
এই জীবন উপত্যকায় যতটুকু তপ্ত আঁচ আছে–
এসো না তাকে সরিয়ে ফেলে গড়ে তুলি
গড়ে তুলি নতুন প্রেমের আখ্যান।।