ইমরান খান রাজ
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ কোটিতে পৌঁছেছে। আর জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে একইভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে চলাচলের যানবাহন।
যানবাহন ব্যবহারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরা অনেকটা সহজ হলেও বর্তমানে অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মফস্বল বা শহর যেখানেই যাই, সেখানেই শুধু যানবাহন আর যানবাহন।
আর অতিরিক্ত যানের চাপে দেশের অধিকাংশ সড়কেই যানযট লেগেই থাকে। আর সবচেয়ে বেশি যানযট লক্ষ করা যায় প্রাণের শহর ঢাকায়। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এখন পুরো শহরটাই যান্ত্রিক মনে হয়। প্রাণ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর !
অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে সড়কে পা-দিলেই শোনা যায় হর্ণ। গাড়ির হর্ণ। যা শব্দদূষণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। শব্দদূষণের কারনে প্রতিবছর বহু মানুষ কানের নানান জটিলতায় ভোগে। যাদের মধ্যে শিশু-কিশোরদের সংখ্যা নেহাত কম নয় ! আমাদের দেশের চালকদের অসচেতনতার কারনেই এই শব্দদূষণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণে অকারণে তাঁরা যখন তখন অযথা হর্ণ বাজাচ্ছে।
অযথা হর্ণ কেনো বাজান ? কে দিবে এই প্রশ্নের উত্তর ? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে হর্ণ বাজালে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হয়। তাঁরা অমনোযোগী হয়ে পড়ে। মসজিদের সামনে অযথা হর্ণ বাজালে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে কষ্ট হয়। হাসপাতালের সামনে হর্ণ বাজালে রোগী ও ডাক্তারদের সেবা আদান-প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বাজানো বন্ধে সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না এই হর্ণের ব্যবহার। হাইড্রলিক্স হর্ণ কিছুটা কমাতে পারলেও সাধারণ হর্ণের অযথা ব্যবহার বন্ধ করা বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। শব্দদূষণ বাড়ছেই।
এবিষয়ে সরকারের আরো কঠোর হওয়া উচিৎ। যেখানে সেখানে অপ্রয়োজনীয় হর্ণ বাজানো বন্ধে সামাজিক ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। চালকদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা গেলেও হর্ণের অতিরিক্ত ব্যবহার কিছুটা কমানো সম্ভব। ঢাকার শহরে অনেকসময় দেখা যায়, ট্রাফিক জ্যামে বসে বসেও অযথা হর্ণ বাজাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সিগনাল না দিলে কি গাড়ি এগিয়ে নেওয়া উচিৎ ? তাহলে কেনো এই অযথা হর্ণ ?