সম্পাদনায় : মেহজাব আহমেদ প্রবাল
এক বার একটা বড় জাহাজে যান্ত্রিক কিছু সমস্যা ধরা পড়ল।
জাহাজটি মেরামতে মালিকের চেষ্টায় কোন ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হয়নি।
আজ এক জনকে আসছে তো কাল অন্য জন, পরশু আরেকজনকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে সমস্যাটি সারাবার জন্য।
কিন্তু কারো পক্ষেই এই জাহাজটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
বড় বড় বিশেষজ্ঞরাও আপ্রাণ চেষ্টা করে যখন কোন কূল কিনারা করতে পারছে না তখন জাহাজ মালিক এক বৃদ্ধ লোককে ডেকে পাঠালেন।
কারণ বৃদ্ধর যৌবনকালে এমন একটি সমস্যার সমাধান করেছে বলে জনশ্রুত আছে।
বয়োবৃদ্ধ ভদ্রলোক বিশাল এক যন্ত্রপাতির বাক্স লইয়া হাজির হইলেন এবং দ্রুত তার কাজে হাত দিলেন।
সে ইঞ্জিনের শুরু হইতে শেষ পর্যন্ত খুবই সতর্কতার সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরিক্ষা করে দেখলেন।
জাহাজের মালিক বৃদ্ধর সাথে সর্বক্ষণ লেগে রইলেন এবং বোঝার চেষ্টা করিল বৃদ্ধ কিভাবে জাহাজ মেরামত করিবে।
সব দিক পরিদর্শন শেষ করে বৃদ্ধলোকটি তাহার বিশাল যন্ত্রপাতির বহর হইতে একটি ছোট্ট হাতুড়ি বাহির করিয়া ধীরে সুস্থে এঞ্জিনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় হাতুড়ি দিয়া কয়েকবার আঘাত করলেন।
আর সঙ্গে সঙ্গেই এঞ্জিনটি সচল হয়ে গেল। কাজ সম্পন্ন করে বৃদ্ধ সাবধানে তাহার হাতুড়ি ব্যাগে রেখে দিলেন।
জাহাজের সমস্যাটি সারা হয়ে গেল সুসম্পন্ন ভাবে। তারপর এক সপ্তাহ পর যখন জাহাজের মালিক লক্ষ টাকার একটি কাজের ভাউচার হাতে পেয়ে তো চোখ ছানাবড়া।
এটা অসম্ভব! বুড়ো তো কিছু কাজই করেনি আর সামান্য হাতুড়ী পিটিয়ে এত টাকা চায়? তখন তিনি বৃদ্ধর কাছে বিলটি ফেরত পাঠিয়ে অনুরোধ করলেন দয়া করে তালিকাবদ্ধ ভাবে বিল প্রদান করুণ।
বৃদ্ধ তখন বিলে উল্লেখ্য করলেন হাতুড়ির বাড়ি দেয়ার জন্য ২০০ টাকা ও কোথায় কোথায় হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিতে হবে সেটা জানার জন্য ৯৯,৮০০.০০ টাকা।